
শনিবার || ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ইসরাইল-লেবানন উত্তেজনা: সেনা প্রত্যাহার না হলে নতুন সংঘাতের আশঙ্কা
প্রকাশিতঃ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গল, ১০:৫০ অপরাহ্ণ । পঠিত হয়েছে ৮৭ বার।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) রোববার ঘোষণা করেছে, তারা লেবাননের গভীরে বিমান হামলা চালিয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর বিভিন্ন স্থাপনা। আইডিএফ দাবি করেছে, এ হামলায় হিজবুল্লাহর অস্ত্রভাণ্ডারসহ রকেট লঞ্চার ধ্বংস করা হয়েছে, যা ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি সমঝোতার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আইডিএফ জানায়, হামলাগুলো লেবাননের বেকা উপত্যকায় হারবাতা ও হালবাতা অঞ্চলে হয়েছে, যা ইসরাইলের সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এসব হামলার মাধ্যমে হিজবুল্লাহর কার্যক্রমকে লক্ষ্য করা হয়, যেটি ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, দক্ষিণ লেবাননের হৌলা শহরে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে এক নারী নিহত হয়েছেন এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। লেবাননের সরকারি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইসরাইলি সেনারা প্রথমে সতর্ক করে পরে “আটক প্রক্রিয়া” শুরু করে, যেখানে পায়ে গুলি চালানো হয়। তবে, আইডিএফ এখনো এই ঘটনায় বেসামরিক নিহত হওয়ার কোনো তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি। লেবাননের সংবাদ সংস্থা জানায়, ইসরাইল হৌলা থেকে তিনজন বেসামরিক নাগরিককে আটক করেছে।
এই হামলা এমন এক সময়ে হয়েছে, যখন ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইসরাইলের বাহিনী দক্ষিণ লেবানন থেকে প্রত্যাহার করার কথা ছিল। তবে, ইসরাইল জানিয়েছে তারা পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করবে না এবং পাঁচটি কৌশলগত স্থানে সেনা মোতায়েন রাখবে। এই অবস্থায়, যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, হিজবুল্লাহকে লিটানি নদীর উত্তরে সরে যেতে এবং দক্ষিণ লেবাননে সকল সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করতে হবে।
হিজবুল্লাহ’র উপপ্রধান নাঈম কাসেম এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ইসরাইলের সেনা অবশ্যই ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে, অন্যথায় নতুন সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, ইসরাইলের কোনো অজুহাত গ্রহণযোগ্য হবে না এবং এটি নিশ্চিত করা লেবাননের সরকারের দায়িত্ব।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার হামাস বাহিনী ইসরাইলে হামলা চালানোর পর থেকেই হিজবুল্লাহ ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিদিন হামলা চালায়। এর জবাবে, ইসরাইলও লেবাননে স্থল ও বিমান হামলা চালিয়েছে, যা দুই মাস ধরে চলতে থাকে।
নভেম্বরে এক যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও, সাম্প্রতিক হামলা ও পাল্টা হামলার কারণে এই চুক্তির ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইসরাইল সেনা প্রত্যাহার না করলে, নতুন করে সংঘাত শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ জাতীয় আরো সংবাদ

পহেলগাম হামলার জন্য পাকিস্তানের দিকেই আঙুল ভারতের
প্রকাশিতঃ ২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহঃ, ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ
কাশ্মীরে হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ২৪
প্রকাশিতঃ ২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গল, ১১:০৪ অপরাহ্ণ
দিনাজপুরে ভবেশ রায়ের মৃত্যুকে নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ বিতর্ক, কী ঘটেছিলো...
প্রকাশিতঃ ২১ এপ্রিল ২০২৫, সোম, ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ
ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণের বাংলাদেশের দাবির উল্লেখ নেই পাকিস্তানের ভাষ্যে
প্রকাশিতঃ ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্র, ১১:২৪ অপরাহ্ণ
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যে ভারতের কড়া সমালোচনা
প্রকাশিতঃ ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্র, ১১:১৭ অপরাহ্ণ
গাজায় স্থল অভিযান বাড়ালো ইসরায়েল, মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ
প্রকাশিতঃ ২০ মার্চ ২০২৫, বৃহঃ, ৯:৩৮ অপরাহ্ণ