২০১৩ সালে বিএনপি নেতা আনারুল ইসলামকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল কবীর, নজরুল ইসলামসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
Image

রবিবার || ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

২০১৩ সালে বিএনপি নেতা আনারুল ইসলামকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল কবীর, নজরুল ইসলামসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

প্রকাশিতঃ ২১ আগস্ট ২০২৪, বুধ, ১১:৪৯ অপরাহ্ণ । পঠিত হয়েছে ১৩৪ বার।

২০১৩ সালে বিএনপি নেতা আনারুল ইসলামকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা   সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল কবীর, নজরুল ইসলামসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার আগরদাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আনারুল ইসলামকে তার বাড়ি থেকে অপহরন ও গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের তৎকালীন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইনামুল হক,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদ্য অব্যহতি পাওয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধ আদালতে অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালত এ মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান সানার ছেলে ও নিহত আনারুল ইসলামের ভাই জিয়ারুল ইসলাম। বিচারক নয়ন বড়াল মামলাটি(সিআর-৪৩৩/২৪) ১৫৬(৩)/১৫৭ ধারামতে তদন্তপূর্বক এজাহার হিসেবে গণ্য করে একজন সহকারি পুলিশ সুপার বা পুলিশ সুপার সমমর্যদার পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামীরা হলেন, সদর থানার তৎকালিন উপপরিদর্শক হেকমত আলী, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক সরকারি কৌশলী দেবহাটা উপজেলার সখীফুর গ্রামের গাজী লুৎফর রহমান, সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের নজিরউদ্দিন সরদারের ছেলে ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান, তার ভাই আব্দুল হান্নান, একই উপজেলার ইন্দিরা গ্রামের কালাচাঁদ সরদারের ছেলে আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হবিবর রহমান, তার ভাই মাহাবুবর রহমান, একই গ্রামের মোহর আলী মোড়লের ছেলে নিহত চেয়ারম্যান আনারুলের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দি হাশেম আলী মোড়ল, কাশেমপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে বিএনপি নেতা তৎকালিন ইউপি সদস্য তহিদুল ইসলাম, শহরের কাটিয়া মাষ্টারপাড়ার মৃত কওছার সরদারের ছেলে সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আলী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কুশখালি গ্রামের গোলাম মোর্শেদ, শহরের রসুলপুরের কোমরউদ্দিন সরদারের ছেলে ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ, সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের (গুলি) ছেলে রবিউল ইসলাম, একই গ্রামের নূর ইসলাম গাজীর ছেলে ইয়াহিয়া গাজী, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু।

মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আনারুল ইসলামকে কাশেমপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে দুটি মাইক্রোবাসে করে সাদা পোশাকে অপহরন করে নিয়ে যায় তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইনামুল হক, উপপরিদর্শক হেকমত আলী জেলা আওয়ামী লীগেরজ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ ১৮ জন। তারা তাকে প্রথমে সদর থানা নিয়ে তার দুই হাত ও দুই পা পিটিয়ে ভেঙ্গে দেয়। এরপর গভীর রাতে থানা থেকে চোখ বেঁধে চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, কাজী মনিরুজ্জামানসহ চার পুলিশ কর্মকর্তা সদর উপজেলার শিকড়ি নামক স্থানে ফাঁকা মাঠে নিয়ে উপর্যুপরি গুলি করে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করে। ময়না তদন্ত প্রডিতবেদনে তার বুকের ডান দিকে দুটি ও বাম দিকে দুটি এবং ঘাড়ে ও মাথায় আরো দুটি গুলি লাগে বলে উল্লেখ করা হয়। একপর্যায়ে নিহতের ভাই এ মামলার বাদী জিয়ারুল ও তার স্বজনরা ৩১ ডিসম্বের সকালে জানতে পারেন যে আনারুলকে হত্যা করে লাশ সদর হাসপাতালে রেখেছে। ওই দিন দুপুরে নিহতের স্বজনরা দুপুর দেড়টার দিকে মর্গ থেকে তার মরদেহ গ্রহন করেন এবং জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করেন। মামলায় আরো উল্লেখ করা হয় তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইনামুল হক, উপপরিদর্শক হেকমত আলী বাকী ১৪ আসামীর ইন্ধনে, প্ররোচনায় ও সক্রিয় সহযোগিতায় এ হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছেন। এ মামলায় অজ্ঞতানামা আরো ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. রবিউল ইসলাম সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ মামলার বাদীসহ নিহতের আতœীয় স্বজন মামলা দায়েরের জন্য সদর থানায় কয়েকদফা গিয়েও মামলা গ্রহন না করায় এবং পুলিশসহ আসামীগণের হুমকির কারণে এতদিন আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তণ হওয়ায় মামলাটি দায়ের দায়ের করা সম্ভব হয়েছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য ভাতার উদ্যোগ নেবে বিএনপি...

প্রকাশিতঃ ২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহঃ, ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ

মহানবী (সা.)কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মহাখালী-সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ

প্রকাশিতঃ ২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গল, ১১:৩১ অপরাহ্ণ

সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিতঃ ২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গল, ১১:০৬ অপরাহ্ণ

ঈদের পরে কোন পথে রাজনীতি? কী পরিকল্পনা বিএনপি, জামায়াত...

প্রকাশিতঃ ১ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গল, ১২:০১ পূর্বাহ্ণ

অটোমানদের ঈদ কেমন ছিল?

প্রকাশিতঃ ৩১ মার্চ ২০২৫, সোম, ১১:২৬ অপরাহ্ণ

আমরা কিন্তু যুদ্ধাবস্থায় আছি: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিতঃ ২৬ মার্চ ২০২৫, বুধ, ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ

সেনাবাহিনী নিয়ে হাসনাত-সারজিসের বক্তব্যে অনেকটা ‘কোনঠাসা’ জাতীয় নাগরিক পার্টি

প্রকাশিতঃ ২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গল, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ