
শনিবার || ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নতুন সাত প্রতিমন্ত্রী কারা, কী দায়িত্ব তাদের
প্রকাশিতঃ ১ মার্চ ২০২৪, শুক্র, ১১:৩৭ অপরাহ্ণ । পঠিত হয়েছে ১৯৬ বার।

বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভায় যুক্ত হলেন নতুন সাত সদস্য। তারা সবাই প্রতিমন্ত্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নতুন প্রতিমন্ত্রীদের শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এর আগে দুপুরে তাদের নাম প্রকাশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে।
সাত জনের মধ্যে নারী চারজন। তারা সবাই সংরক্ষিত আসনের সদস্য হিসেবে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়েছেন। সংরক্ষিত নারী আসন থেকে একসাথে এতজনকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেয়ার ঘটনা বিগত সংসদগুলোতে দেখা যায়নি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বাদশ সংসদের মন্ত্রিসভা গঠিত হয় ১১ জানুয়ারি। প্রধানমন্ত্রীসহ এর সদস্য সংখ্যা ছিল ৩৭ জন। ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী তখন শপথ নেন।
নতুন সদস্যরা যুক্ত হওয়ায় বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভার আকার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ জনে। প্রতিমন্ত্রীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৮ জনে।
শপথ গ্রহণের পরে তাদের মন্ত্রণালয়ও বণ্টন করে দেয়া হয়েছে।
নতুন এই সাত প্রতিমন্ত্রী হলেন:
মো. শহীদুজ্জামান সরকার
মো. আবদুল ওয়াদুদ
মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী
রোকেয়া সুলতানা
শামসুন নাহার
ওয়াসিকা আয়শা খান
নাহিদ ইজাহার খান
কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন
মো. শহীদুজ্জামান সরকার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ– ২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। চতুর্থবারের মতো জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন মি. সরকার। বর্তমান মন্ত্রিসভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাকে।
একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে সাত জানুয়ারি নির্বাচনের আগে নওগাঁ–২ আসনে ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়েছিল। পরে ১২ ফেব্রুয়ারি সেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
মি. সরকার পেশায় একজন আইনজীবী।
মো. আবদুল ওয়াদুদ
মো. আব্দুল ওয়াদুদকে দেয়া হয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
মি. ওয়াদুদ রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি ২০০৮ এ নবম সংসদে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হন। ২০১৮ পর্যন্ত দুই মেয়াদে রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি।।
খাদ্যমন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মি. ওয়াদুদ।
একাদশ সংসদে তিনি দলীয় মনোনয়ান পাননি।
তবে এবার নৌকা প্রতীকে জয়ী হয়ে তৃতীয়বারের মতো সংসদীয় আসন নিশ্চিত করেন আবদুল ওয়াদুদ।
মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী
চট্টগ্রামের চন্দনাইশের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তাকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এর আগে তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সদস্য ছিলেন তিনি।
সদস্য ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতেও।
টানা তিনবার চট্টগ্রাম-১৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছে মি. চৌধুরী। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী।
রোকেয়া সুলতানা
রোকেয়া সুলতানাকে দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিববার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মিজ সুলতানা।
এবারই প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান এই সাবেক ছাত্রনেতা।
রংপুর মেডিকেলে পড়ার সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন রোকেয়া সুলতানা।
শামসুন নাহার
আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা। তিনিও এবারই প্রথম সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হয়েছেন। তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের বোন। ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
কর্মজীবনে সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। সর্বশেষ তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট থেকে ২০১৫ সালে অবসরে যান।
ওয়াসিকা আয়শা খান
ওয়াসিকা আয়শা খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর পেলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
দশম এবং একাদশ সংসদেও সংরক্ষিত আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি।
সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির।
এছাড়া, তিনি কন্সালটেন্সি ও শিক্ষকতা পেশার সাথে যুক্ত।
নাহিদ ইজাহার খান
একাদশ সংসদেও সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। এবার তাকে দেয়া হলো সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
নাহিদ ইজাহার খান পেশাগত জীবনে একজন শিক্ষক।
তার বাবা কর্নেল নাজমুল হুদা ১৯৭৫ সালের তেসরা নভেম্বরের সামরিক অভ্যুত্থানে মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। সাতই নভেম্বর তাদেরকে একসঙ্গেই হত্যা করা হয়।
এ জাতীয় আরো সংবাদ

ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য ভাতার উদ্যোগ নেবে বিএনপি...
প্রকাশিতঃ ২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহঃ, ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ
মহানবী (সা.)কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মহাখালী-সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ
প্রকাশিতঃ ২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গল, ১১:৩১ অপরাহ্ণ
সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি
প্রকাশিতঃ ২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গল, ১১:০৬ অপরাহ্ণ
ঈদের পরে কোন পথে রাজনীতি? কী পরিকল্পনা বিএনপি, জামায়াত...
প্রকাশিতঃ ১ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গল, ১২:০১ পূর্বাহ্ণ
অটোমানদের ঈদ কেমন ছিল?
প্রকাশিতঃ ৩১ মার্চ ২০২৫, সোম, ১১:২৬ অপরাহ্ণ
আমরা কিন্তু যুদ্ধাবস্থায় আছি: প্রধান উপদেষ্টা
প্রকাশিতঃ ২৬ মার্চ ২০২৫, বুধ, ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ