Dakhinadarpon গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে মালিকদের প্রস্তাব মেনে নিল সরকার – Dakhinadarpon
Image

সোমবার || ২৭শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে মালিকদের প্রস্তাব মেনে নিল সরকার

প্রকাশিতঃ ৮ নভেম্বর ২০২৩, বুধ, ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ । পঠিত হয়েছে ১০৪ বার।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে মালিকদের প্রস্তাব মেনে নিল সরকার

বাংলাদেশে প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পহেলা ডিসেম্বর থেকে নতুন মুজরি কাঠামো কার্যকর হবে বলে সরকার জানিয়েছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে টানা শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিদের সাথে সরকারের আলোচনার পর এই ঘোষণা এলো।

শ্রমিক ও সরকারের সাথে আলোচনার পর আট হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১২ হাজার করার প্রস্তাব দিয়েছিলো মালিকপক্ষ। সরকার সেই প্রস্তাবই মেনে নিয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় যে, শ্রমিকদের মজুরি কাঠামোতে পাঁচটি গ্রেড থাকবে। মোট মজুরির মধ্যে মূল বেতন হবে ৬৩ শতাংশ। অর্থাৎ ১২ হাজার ৫০০ টাকা মোট মজুরির মধ্যে মূল বেতন হবে ৭ হাজার ৮৭৫ টাকা।

এটি ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। ফলে শ্রমিকরা নতুন কাঠামো অনুযায়ী মজুরি পাবেন আগামী বছরের জানুয়ারিতে।

সকালে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের ষষ্ঠ সভায় পোশাক শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজুল ইসলাম রনি। তিনি সরকার দলীয় শ্রমিক সংগঠন- বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি।

ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামোতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ছোট এবং মাঝারি কারখানার সংখ্যাই বেশি। আমাদের বেশিরভাগ শ্রমিক সেখানেই কাজ করেন। কাজেই দাবি আদায় করতে গিয়ে ঐসব কারখানার মালিকরা যেন বেকায়দায় না পড়েন এবং যেন কারখানা বন্ধ না করে দেন, সে কথা ভেবেই আমরা ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা রাখতে সম্মত হয়েছি।”

তবে নতুন এই মজুরি কাঠামোতে “প্রত্যাশা পূরণ হয়নি” বলে জানিয়েছেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের এবং ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সভাপতি আমিরুল হক আমিন।

তিনি বলেন, “দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর কথা বলেছিলাম। আমরা প্রত্যাশা করছিলাম যে, সরকার অন্তত ১৩ হাজার টাকার নিচে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করবে না। কিন্তু আজকের ঘোষণায় আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।”

তবে বিজিএমইএ সাবেক প্রেসিডেন্ট ও মালিক পক্ষের নেতা সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, ”বাংলাদেশের এমবিএ পাস করে ছেলে-মেয়েরাই বেকার থাকছে, সেখানে একজন গার্মেন্টস কর্মী কাজে যোগ দিয়েই সাড়ে ১২ হাজার টাকা মজুরি পাবে, সেটা ‘মোর দ্যান এনাফ’। এর বাইরে তারা ওভারটাইম মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো পাবে। আমরা আশা করছি এখন তারা সবাই কাজে যোগ দেবে।”

পোশাক শ্রমিকরা যেন বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারে, সেজন্য আগামী জানুয়ারিতে পোশাক শ্রমিকদের প্রতিটি পরিবারকে একটি করে টিসিবি কার্ড দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী।

এছাড়া আন্দোলনে অংশ নেয়া শ্রমিকদের যেন ছাঁটাই বা হয়রানি না করা হয়, সে ব্যাপারেও মালিকপক্ষকে নির্দেশনা দেন তিনি।

আগামী ১৪ দিনের মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামোর প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার।

এর আগে, সর্বশেষ ২০১৮ সালে পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ঠিক করা হয়েছিল আট হাজার টাকা। কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকেই বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিলেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

এই দাবির প্রেক্ষিতে নতুন মজুরি কাঠোমো নির্ধারণের জন্য গত এপ্রিলে নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে সরকার। গত অক্টোবরে বোর্ডের চতুর্থ সভায় ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা ন্যূনতম মজুরি দাবি করে প্রস্তাব দেন শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে, কারখানা মালিকদের পক্ষ থেকে ১০ হাজার ৪০০ টাকা মজুরি নির্ধারণের প্রস্তাব আসে।

মালিকপক্ষের এই মজুরি প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২৩ অক্টোবর গাজীপুরের কয়েকটি কারখানায় আন্দোলন শুরু করেন শ্রমিকরা। পরবর্তীতে এটি মিরপুর, আশুলিয়া, সাভারসহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।

মালিকপক্ষের সাথে দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে মূল মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ১২ হাজার টাকা সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করলো বাংলাদেশ সরকার।

তবে গত ২২শে অক্টোবর ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চতুর্থ সভায় শ্রমিক প্রতিনিধিরা ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা মজুরি দাবি করেছিলেন।

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মঙ্গলবার সকালে ঢাকার সেগুনবাগিচায় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা

এর আগে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার সেগুনবাগিচায় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে পোশাক খাতের জন্য গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের ষষ্ঠ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রায় দেড় ঘণ্টার এই সভায় মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান, শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি, মালিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি মকসুদ বেলাল সিদ্দিকী, শ্রমিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি সুলতান আহম্মদ এবং নিরপেক্ষ প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন অংশ নেন।

সভায় পোশাক কারখানার মালিকদের পক্ষ থেকে ১২ হাজার ৫০০ টাকার ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাব করা হয়।

কারখানা মালিকদের প্রস্তাবিত এই মজুরিই শেষমেশ চূড়ান্ত করলো নিম্নতম মজুরি বোর্ড।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করছিল শ্রমিকরা। সেই আন্দোলনে সহিংসতায় দুইজন শ্রমিকের মৃত্যু আর বহু শ্রমিক আহত হয়েছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

ক্যাম্পাসে আর কোনো আধিপত্যবাদের স্থান হবে না : জামায়াতের...

প্রকাশিতঃ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গল, ৯:৪৫ অপরাহ্ণ

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে কোনো ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পায়নি তদন্ত কমিটি

প্রকাশিতঃ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গল, ৯:৪৩ অপরাহ্ণ

ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান

প্রকাশিতঃ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গল, ৯:৪১ অপরাহ্ণ

১৫ই জানুয়ারির মধ্যে বিপ্লবের ঘোষণাপত্র চায় বৈষম্যবিরোধীরা

প্রকাশিতঃ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গল, ৯:৩৩ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশের ২০২৪: একতরফা নির্বাচন, ছাগলকাণ্ড, হাসিনার দেশত্যাগসহ যত বিরল...

প্রকাশিতঃ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গল, ৯:২৯ অপরাহ্ণ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিশন গঠন

প্রকাশিতঃ ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোম, ৯:১৬ অপরাহ্ণ

ছাত্র আন্দোলনে আহত আরাফাতের মৃত্যু, বিকেলে শহীদ মিনারে জানাজা

প্রকাশিতঃ ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোম, ৯:১৪ অপরাহ্ণ