শনিবার || ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
‘ইউনূসের প্রয়োজনের মুহূর্তে আমার সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিন: হিলারি’
প্রকাশিতঃ ৩১ আগস্ট ২০২৩, বৃহঃ, ১০:৫৫ অপরাহ্ণ । পঠিত হয়েছে ২৭৫ বার।
ইউনূসের প্রয়োজনের মুহূর্তে আমার সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিন: হিলারি – দৈনিক ইত্তেফাকের শিরোনাম এটি। এ খবরে বলা হয়েছে, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমর্থনে সোমবার বিশ্বের ১৬০ জন নেতা ও নোবেলজয়ীদের খোলা চিঠির পর মঙ্গলবার রাতে এনিয়ে বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। তিনি টুইটারে এনিয়ে বার্তাটি দিয়েছেন।
হিলারি ক্লিনটনের টুইটার বার্তা উদ্ধৃত করে ইত্তেফাকের খবরটিতে বলা হয়েছে, মহান মানবতাবাদী ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রয়োজনের মুহূর্তে সমর্থন দিতে আমার ও ১৬০ বিশ্বনেতার বেশি বিশ্বনেতার পাশে দাঁড়ান। তার বিরুদ্ধে নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে এই আন্দোলনে যোগ দিন।
সেই খোলা চিঠিতে আরও স্বাক্ষর করেছেন ১৫ বিশ্বনেতাসহ ২৩ জন যার ফলে সে সংখ্যা বেড়ে ১৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হলে বিদেশে সরকার হটানোর চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র – দৈনিক কালের কণ্ঠ এই শিরোনাম করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে এই শিরোনাম করা হয়েছে। তুরস্কের সরকারি টেলিভিশন টিআরটি ওয়ার্ল্ডের একটি অনুষ্ঠানে মিঃ বোলটন জানিয়েছেন, নিজস্ব স্বার্থের বড় ধরনের ক্ষতি হলে বিদেশে সরকার উৎখাতের চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র।
‘যুক্তরাষ্ট্রের কাজ কি বিদেশে সরকারের পতন ঘটানো?’ সাক্ষাৎকারে এমন প্রশ্নের উত্তরে মিঃ বোল্টন বলেন, এটি নির্ভর করে যখন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের ওপর গুরুতর প্রভাব পড়ে।
দৈনিক বনিক বার্তার শিরোনাম হঠাৎ করেই আলোচনার কেন্দ্রে ড. মুহাম্মদ ইউনুস। সেখানে একই টুইট এবং খোলাচিঠির বিবরণ এসেছে। প্রতিবেদনটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে সমালোচনার দিক উঠে এসেছে। এনিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘হেনস্তা করা বন্ধের আহ্বানের কথাও বলা হচ্ছে। মিঃ আলমগীর বলছেন ‘ওনাকে যারা ছোট করতে চান, অপমান করতে চান, তারা আরেকবার জন্ম নিলেও ওনার সমান উচ্চতায় যেতে পারবেন না। এ অনিবার্য সত্য মেনে নিয়ে ওনাকে হেনস্তা বন্ধ করুন। এসব মামলাবাজি বন্ধ করুন।’
এনিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন ‘যারা ড. ইউনুসের মামলা স্থগিত করতে বলেন, মামলা কীভাবে স্থগিত হবে? মামলার কাগজপত্র, দলিল-দস্তাবেজ ঠিক আছে কিনা দেখুন। হাওয়ায় একটি বিবৃতি ছেড়ে দিলেন! আবার এর সঙ্গে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি!
তারা পদলেহনকারী সরকার চায় – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ে এ শিরোনাম করেছে দৈনিক কালবেলা। শেখ হাসিনাকে উদধৃত করে এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কিছু বড় দেশ চায় বাংলাদেশে এমন একটা সরকার আসুক, যারা তাদের পদলেহন করবে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন ‘এরা যাদের বন্ধু হয় তাদের তো আর শত্রু লাগে না।’ একই দিন বিএনপিকে ঘিরে ‘হত্যা, অভ্যুত্থান ও ষড়যন্ত্র’ ও ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া এবং ভোট কারচুপির মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসার অভিযোগের বিষয়টিও উঠে এসেছে।
সেপ্টেম্বরে রাজনীতির উত্তাপ, এমন শিরোনাম দৈনিক যুগান্তরের। সেখানে সেপ্টেম্বর মাস থেকে আওয়ামী লীগ পুরোদমে নির্বাচনী যাত্রা শুরু করবে, অন্যদিকে আন্দোলনের গতি বাড়াবে বিএনপি এমন দিক উল্লেখ করা হয়েছে।
মাসের প্রথম দিন ছাত্রলীগের ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী সমবেত করে বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতির প্রসঙ্গ এসেছে। ২রা সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশের উদ্বোধন ঘিরেও মহাসমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ।
পহেলা সেপ্টেম্বরেই বিএনপি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিতে বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমনটাও উঠে এসেছে খবরে। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই জোরদার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপির বর্ণাঢ্য র্যালি করবে বলা হচ্ছে। প্রতিবেদনে তাদের মাঠ পর্যায়ে প্রস্তুতি, সরকারবিরোধী সমমনা ছাত্র সংগঠনগুলোকে নিয়ে ছাত্রঐক্য গঠনের উদ্যোগ, এবং সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আবারও যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়গুলোও উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে আমি বিক্রি হওয়ার মতো মানুষ নই জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদেরকে উদ্ধৃত করে এ শিরোনাম মানব জমিনের। ইউটিউবে তার বিরুদ্ধে ‘বিক্রি হয়ে যাওয়া’র প্রচারণা চলছে উল্লেখ করে জবাবে অর্থ বা ক্ষমতার জন্য তিনি বিক্রি হতে পারেন না এমন বলেছেন মিঃ কাদের। এছাড়া ভারত সফরে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সংকটের মিছিলে এবার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এ শিরোনাম দৈনিক কালবেলার। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ব্যাংকিং সেবায় একসময় সর্বোচ্চ মানদণ্ড অনুসরণ করা বহুজাতিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কিভাবে বহুমুখী সংকটে জড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে দেদারসে ঋণ বিতরণ এবং ঋণ বিতরণে বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সীমা না মানায় এক পর্যায়ে বিপুল পরিমাণে ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে ব্যাংকটি যা প্রায় আদায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বলা হচ্ছে ব্যাংকটির আদায় অযোগ্য ঋণ ঠেকেছে ৫৮৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণ ছিল ২৫৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, যেটা চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৮৯৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।
আকারে বড় হলেও দুর্বল হয়েছে অগ্রণী ব্যাংক, রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক নিয়ে দৈনিক বণিক বার্তার শিরোনাম এটি। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে এক যুগে ব্যাংকের সম্পদের আকার চার গুণ বড় হয়েছে। ব্যবসার পরিধি বাড়লেও ব্যাংকটির ভিত নড়বড়ে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন থেকে দেখা যাচ্ছে রেকর্ড খেলাপি ঋণ, মূলধন ও সঞ্চিতি ঘাটতিসহ ব্যাংকিংয়ের প্রতিটি মৌলিক সূচকে ব্যাংটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। খবরে বলা হচ্ছে নিট মুনাফা পরিস্থিতি ছাড়াও এক যুগে ব্যাংকটির আর্থিক ভিতও ভঙ্গুর হয়ে উঠেছে।
ভিন্নমত দমনে জোর, অপরাধ ঠেকাতে নয়, এই খবর প্রথম আলোর। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ডিজিটাল দুনিয়ায় নানা অপরাধের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার চেয়ে সরকারবিরোধীতার ব্যাপারেই সরকারের তৎপরতা বেশি।
খবরে বিভিন্নভাবে অ্যাপের মাধ্যমে বা বিজ্ঞাপন দিয়ে ও গ্রুপ খুলে ঋণ বিতরণ করে মানুষকে প্রতারিত করার প্রসঙ্গ এসেছে। এছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রার অবৈধ লেনদেন, জুয়া, জাল নোটের কেনাবেচা, নিষিদ্ধ ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন ইত্যাদি নানা অপরাধও রয়েছে।
অথচ সরকার গুগলের কাছে যেসব কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ করেছে তার প্রায় ৯০ শতাংশ সরকারের সমালোচনা ও মানহানিবিষয়ক। যদিও গুগল বেশির ভাগ অনুরোধ রাখেনি বলা হচ্ছে খবরটিতে।
আরো বলা হচ্ছে মানুষের নিরাপত্তার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হলেও কার্যত আইনটি ব্যবহার হচ্ছে বিরোধী রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের হয়রানি করতে।
সিন্ডিকেটের ‘লম্বা হাত’এমন শিরোনাম করেছে দৈনিক সমকাল। ক্রমাগত বাড়তে থাকা নিত্যপন্যের দামের পেছনে নানা সিন্ডিকেট এবং তাদের প্রভাবের দিক্টা উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। ভোক্তারা চাপে থাকলেও মন্ত্রী-সচিবরা বলছেন ‘সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়’। খবরে বলা হচ্ছে গত ২৬শে জুন সংসদে বিরোধী দলের তোপের মুখে পড়েন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ‘বড় গ্রুপগুলোকে জেল-জরিমানা করা যায়; কিন্তু তাতে হঠাৎ যে সংকট তৈরি হবে, তা সইতে কষ্ট হবে,’ বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন কথা অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে। এনিয়ে গত পরশু প্রধানমত্রীর সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সিন্ডিকেট থাকলে তা ভাঙা যাবে না– এটা হতে পারে না। সিন্ডিকেট কত শক্তিশালী, তা দেখব।’ এ ব্যাপারে তিনি বাণিজ্যমন্ত্রীকে ‘ধরবেন’ বলে জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সাথে দুই ঘন্টা থাকার পরও কিন্তু এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বানিজ্যমন্ত্রীকে কিছু বলেননি বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।—বিবিসি নিউজ