শনিবার || ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
বিএনপি-জামায়াত আবারও আগুন-সন্ত্রাস শুরু করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ ৩০ জুলাই ২০২৩, রবি, ১১:৩৫ অপরাহ্ণ । পঠিত হয়েছে ২১২ বার।
২০১৩-১৪ সালের মতো বিএনপি-জামায়াত আবারও আগুন-সন্ত্রাস শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারপ্রধান বলেছেন, গতকালকে দেখেছেন- কতগুলো বাস পুড়িয়েছে। চলন্ত বাস, ট্রেনে তারা আগুন দিয়েছে। মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়েছে, সবখানে আগুন দিয়েছে। ২০১৩-১৪ তে পুড়িয়েছে। গতকালকেও আমরা তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের নমুনা আবারও দেখলাম। বিএনপি-জামায়াত আবার আগুন-সন্ত্রাস শুরু করেছে।
রোববার (৩০ জুলাই) সকালে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি পঞ্চম ধাপে দেশের ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু একদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়ে দেশ গড়েছেন, অন্যদিকে ইসলাম প্রচারের জন্য টঙ্গীতে ইজতেমার জায়গা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন নির্মাণ করেছেন। কাকরাইলে মসজিদের জায়গা দিয়েছিলেন, অল্প খরচে বাংলাদেশের মানুষকে হজে পাঠানোর জন্য জাহাজের ব্যবস্থা করেছিলেন।Prime Ministerশেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু মাদরাসা বোর্ডের স্বীকৃতি দিয়েছেন। বাংলাদেশ ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে জাতির পিতার আমলেই। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইসলামের নাম নিয়ে অনেকেই ক্ষমতায় এসেছে, কিন্তু ইসলামের জন্য তারা কিছু করেনি।
সরকারপ্রধান বলেন, ’৯৬ সালে আমি যখন ক্ষমতায় আসি তখন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিজস্ব ভবন ছিল না। আমি ১০তলা ভবন করে দিয়েছি। সব জেলায় স্থায়ী অফিস ছিল না, মাত্র ৩৪টি জেলায় অফিস ছিল। আমি সরকারে আসার পর প্রতিটি জেলায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের জন্য অফিসের ব্যবস্থা করে দেই ও কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় আসার পর আমি যখন বায়তুল মোকাররমের উন্নয়নকাজের ব্যবস্থা হাতে নিলাম, ২০০১ এ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। ওই সময় খালেদা জিয়া এই মসজিদের কাজ বন্ধ করে দেয়। ৮ বছর পর আমরা আবারও ক্ষমতায় আসি, এরপর নতুনভাবে মসজিদটি নির্মাণ করি। ক্যান্টনমেন্টে একটা বড় মসজিদ করতে চেয়েছিলাম, খালেদা জিয়ার কথা ছিল- এতবড় মসজিদে কে নামাজ পড়তে আসবে!
মুষ্টিমেয় কয়েকটি মানুষের জন্য আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলাম বিশ্বের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের সঙ্গে কারো ছেলে-মেয়ে যাতে জড়িত না হয়। আমি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সব ইমামদের এ বিষয়ে, বিশেষ করে শুক্রবার জুমার খুতবার সময় সকলকে সামাজিক বিষয়গুলোতে সচেতন করুন, আমরা চাই নতুন প্রজন্ম যেন জঙ্গিবাদে জড়িত না হয়।