রবিবার || ২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ইসরায়েলে গঠিত হচ্ছে নতুন এক সশস্ত্র ‘ন্যাশনাল গার্ড’ বাহিনী
প্রকাশিতঃ ৩ এপ্রিল ২০২৩, সোম, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ । পঠিত হয়েছে ৬৮ বার।
ইসরায়েলে জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী গঠনের প্রস্তাবের ওপর আজ দেশটির মন্ত্রিসভায় ভোটাভুটি হয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদপত্রগুলো জানিয়েছে, কিছু মন্ত্রী এ প্রস্তাবের ব্যাপারে আপত্তি করলেও শেষ পর্যন্ত তারা এর পক্ষেই ভোট দেন।
দৈনিক হারেৎজ খবর দিচ্ছে, মি. বেন গভিরের উগ্র ডানপন্থী দল ওৎজমা ইয়েহুদিৎ ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে ঐকমত্যে পৌঁছেছে যে বিচারবিভাগের বিতর্কিত সংস্কার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার বিনিময়ে এই ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী প্রতিষ্ঠার সবুজ সংকেত দেয়া হবে।
এ বাহিনী ইসরায়েলের উগ্র-জাতীয়তাবাদী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ফিনান্সিয়াল টাইমসের এ রিপোর্টে বলা হয়, এই সশস্ত্র বাহিনীটি সারা ইসরায়েল জুড়ে মোতায়েন করা হবে এবং “জাতীয়তাবাদী অপরাধ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই এবং প্রশাসনকে শক্তিশালী করার জন্য কাজে লাগানো হবে।“
ইসরায়েলের মানবাধিকার সংগঠন সতর্ক করেছে যে এর ফলে তাদের ভাষায় একটি “প্রাইভেট সশস্ত্র মিলিশিয়া বাহিনী তৈরি হবে।“ গত বুধবার এ পরিকল্পনা প্রকাশ পাবার পর তেলআবিবে এর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকশ লোক বিক্ষোভ করেছিল।
ইসরায়েলের একটি নাগরিক অধিকার সংগঠনের প্রধান নোয়া সাত্তাত বলছেন, তিনি আশংকা করেন যে দেশের ফিলিস্তিনি নাগরিকদের বিরুদ্ধে, এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনের জন্য এই বাহিনীব্যবহৃত হবে।
দৈনিক হারেৎজ জানাচ্ছে, এমনকি ইসরায়েলের পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থা শিনবেটও এই ন্যাশনাল গার্ড প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করছে।
তবে মি. বেন-গভির – যিনি ইতোপূর্বে বর্ণবাদ উস্কে দেয়া এবং সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থন দেয়ার জন্য অভিযুক্ত হয়েছিলেন – বহুদিন ধরেই এ বাহিনী গঠনের কথা বলে আসছিলেন। তার যুক্তি ছিল যে অরাজকতা মোকাবিলার জন্য এরকম বাহিনী দরকার
সিরিয়ার ভেতরে ইসরায়েলি বিমান হামলা
রোববার ভোরে সিরিয়ার হমস প্রদেশের কয়েকটি জায়গায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচজন সৈন্য আহত হয়েছে বলে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলছে।
এর আগে ইরান জানায়, দু’দিন আগে সিরিয়ার ভেতরে চালানো এক কথিত ইসরায়েলি বিমান হামলায় আহত হওয়া ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর দ্বিতীয় আরেকজন সদস্য মারা গিয়েছেন।
সম্প্রতি সিরিয়ার ভেতরে ইরান-সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর ওপর বিমান হামলা বেড়েছে – যা ইসরায়েলই চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কোনো দেশের নাম না উল্লেখ করে বলেছেন, সন্ত্রাসীদের সমর্থন দেয় এমন শাসকগোষ্ঠীগুলোকে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে।
ইসরায়েল কয়েক বছর ধরেই সিরিয়ার ভেতরে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে, তবে এসব আক্রমণের কথা স্বীকার করার ঘটনা খুবই বিরল।
অন্যদিকে জেরুসালেমের পুরোনো শহর এলাকায় ইসরায়েলি পুলিশ মোহামেদ এলআসিবি নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করার পর এর প্রতিবাদে ইসরায়েলি আরব সম্প্রদায়ের লোকেরা একদিনের ধর্মঘট করছেন।
পুলিশ দাবি করছে ওই ব্যক্তি একজন কর্মকর্তার বন্দুক কেড়ে নিয়ে দু’বার গুলি করেন এবং তখন পুলিশ পাল্টা গুলি করে।
কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শী ও মি. এলআসিবির পরিবার পুলিশের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
ওই এলাকায় অনেকগুলো সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও পুলিশ বলছে, তাতে ওই ঘটনার কোন ভিডিও ধরা পড়েনি।
ইসরায়েলি আরব জনগোষ্ঠীর নেতা এ ঘটনাকে ‘ঠান্ডা মাথায় খুন’ বলে অভিহিত করেছেন।