শনিবার || ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
নেতানিয়াহু-হামাস নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির পরোয়ানা: আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
প্রকাশিতঃ ২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহঃ, ১১:১৯ অপরাহ্ণ । পঠিত হয়েছে ১৪ বার।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং হামাস কমান্ডার ইব্রাহিম আল-মাসরির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে হামলা এবং পরবর্তীতে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আইসিসির মিথ্যা এবং হাস্যকর সিদ্ধান্ত ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করছে। এটি ইহুদিবিরোধী আচরণ।
ইসরায়েলের রাষ্ট্রপতি আইজ্যাক হার্জগ বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসের পক্ষে সমর্থন। এটি আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থাকে হামাসের মানবতাবিরোধী অপরাধের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেছেন, এটি ইসরায়েলের নেতাদের নয়, বরং আইসিসির লজ্জার প্রতীক।
অন্যদিকে, বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ মন্তব্য করেছেন, এই গ্রেফতারি পরোয়ানা সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করার সমান।
হামাস এবং ফিলিস্তিনের প্রতিক্রিয়া
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা আইসিসিকে আহ্বান জানাই, তারা যেন অপরাধী দখলদার নেতাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনে। হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা বাসেম নাইম বলেছেন, এটি ন্যায়ের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, তবে এটি আরও কার্যকর হওয়া প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এই পদক্ষেপকে ‘বিপজ্জনক প্রহসন’ বলে অভিহিত করে বলেছেন, এখন সময় এসেছে মার্কিন সিনেটের পদক্ষেপ নেওয়ার।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, আইসিসির সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক নয়। এটি সম্মান করা এবং বাস্তবায়ন করা উচিত।
নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাসপার ফেল্ডক্যাম্প জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তার দেশ নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ফ্রান্স আইসিসির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাবে। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেন, আইসিসির রায় সম্মান করা উচিত। ফিলিস্তিনিদের জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্য।
এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহল দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। তবে এটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।