
সোমবার || ২৭শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
গাজা শহরের প্রাণকেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়ার দাবি ইসরায়েলি সৈন্যদের
প্রকাশিতঃ ৮ নভেম্বর ২০২৩, বুধ, ১০:২৭ অপরাহ্ণ । পঠিত হয়েছে ১০৭ বার।

ইসরায়েলে হামাসের হামলার এক মাস পূর্তির দিনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেছেন তাদের সৈন্যরা এখন ‘গাজা শহরের প্রাণকেন্দ্রে’। গত সাতই অক্টোবর হামাস ওই হামলা চালিয়েছিলো।
মি. গ্যালান্ত বলেছেন হামাসের বিরুদ্ধে তাদের সৈন্যরা ‘আক্রমণ করছে স্থল, বিমান ও নৌ বাহিনীর সমন্বয়ে’।
অন্যদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তাদের সৈন্যরা ‘গাজা শহর ঘিরে রেখেছে এবং ভেতরে অভিযান’ চালানো হচ্ছে। মি. নেতানিয়াহু গাজার মানুষকে আগেই দক্ষিণের দিকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করে বলেছিলেন , ‘প্লিজ গো সাউথ’ অর্থাৎ ‘দয়া করে দক্ষিণে সরে যান’।
সোমবার মি. নেতানিয়াহু বলেছিলেন, যুদ্ধের পর ‘গাজার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব’ ইসরায়েল গ্রহণ করবে। পরে তার মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
স্ট্রাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী মি. নেতানিয়াহুর বক্তব্য ব্যাখ্যা করে বলেছেন যে, ইসরায়েল ওই অঞ্চল আবার দখল বা শাসন করবে না। বেসামরিক এলাকা হিসেবে গাজার যেভাবে থাকার কথা সেটিই নিশ্চিত করবে ইসরায়েল। সামরিক বাহিনী শুধু নতুন কোন সন্ত্রাসের হুমকি পেলে তার বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে মিশরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে চারশর মতো মার্কিন নাগরিক গাজা থেকে সরে এসেছে।
ওদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস, রাফাহ ও দেইর আল বালাহ শহরে বিমান হামলায় কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত দশ হাজার তিনশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪১০০শিশু।
অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১৪শ মানুষের মৃত্যু হয়েছিলো এবং জিম্মি করে নেয়া হয়েছিলো আরও দুশো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে মৃত্যু ও দুর্ভোগের মাত্রা দেখে ইসরায়েল-গাজা সংকটের বিষয়টা উপলব্ধি করাও কঠিন।
গাজার উত্তরাঞ্চল ছাড়ছে মানুষ
গাজা শহরের মধ্যে ইসরায়েলের বাহিনীর আরও এগিয়ে যাওয়ার কারণে বেসামরিক নাগরিকরা আবারও গাজা ছাড়তে শুরু করেছে। ইসরায়েল আগেই সতর্ক করে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে দক্ষিণের দিকে যেতে বলেছে।
মঙ্গলবার থেকে সেখানে লোকজনদের সরে যাওয়ার জন্য একটি ‘করিডোর’ খোলার কথা জানিয়েছিলো ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এরপর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শত শত মানুষ সে পথ ধরে অগ্রসর হয়। কেউ পায়ে হেঁটে আবার কেউ বা গাধার পিঠে করে পথ পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছে।
জি-৭ বসছে টোকিওতে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনসহ জি-৭ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা টোকিওতে আজ বৈঠকে বসার কথা। তারা গাজার বিষয়ে একটি সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছেন।
বৈঠকের পর এই গ্রুপ একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করতে পারে। আশা করা হচ্ছে তাতে তারা লড়াইয়ে অস্থায়ী বিরতির অনুরোধ করবে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আগেই প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন এটি হলে হামাস আবারো পুনর্গঠিত হবার সুযোগ পাবে। তবে তিনি বলেছেন যে ‘কৌশলগত ছোটো আকারের বিরতি’ তিনি বিবেচনা করবেন।
এই গ্রুপে থাকা ধনী দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গত মাসে সংঘাত শুরু হওয়ার পর তাদের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
গাজা থেকে সরানো হলো ফিলিপিনোদের
ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট মার্কোস জুনিয়র জানিয়েছেন যে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে তার দেশের চল্লিশ জন নাগরিককে নিরাপদে গাজা থেকে মিশরে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
তিনি এজন্য কাতারের মধ্যস্থতায় রাফাহ ক্রসিং খোলার কথা উল্লেখ করে ইসরায়েল ও মিশরের সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
নেতানিয়াহুকে ‘বিরতির’ কথা বলেছেন বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন যে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজার লড়াইয়ে ‘বিরতি’ দেয়ার জন্য বলেছেন।
হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র আগেই বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দুই নেতা ইসরায়েলের অভিযানে ‘কৌশলগত বিরতি’র বিষয়ে কথা বলেছেন।
সোমবার ওই আলোচনায় তারা জিম্মিদের সম্ভাব্য মুক্তির বিষয়েও কথা বলেছেন।
ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ছে রাফাহর মানুষ
রাফাহ মিশর সীমান্ত সংলগ্ন গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি শহর। এটি তথাকথিত নিরাপদ এলাকা। কিন্তু সেখানেই আবাসিক এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে খালি হাতেই স্বজনদের খুঁজছে সেখানকার মানুষ।
একটি ছোট শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন একজন উদ্ধারকর্মী। তার মুখ পুড়ে গেছে ও পিঠে মারাত্মক আঘাত। বিবিসির একজন সংবাদদাতা তার ভিডিও ফুটেজ নিয়েছেন।
এর আগে তিনি একজন নারীকে পেয়েছিলেন যিনি হাসপাতালের বাইরে তার সন্তানকে খুঁজছিলেন।
রানা আল সানডি বলছিলেন যে যখন বোমাবর্ষণ হয় তখন তার কন্যা পাশের বাড়ীতে ছিলো। “আর কিছু বাকী নেই। জানিনা আমার মেয়ে কোথায় আছে। আমি তাকে দেখতে চাই,” তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন।
পরে বিবিসি সংবাদদাতা তার ভিডিও ফুটেজ দেখান এবং সেখানে তিনি তার সাত বছরের মেয়ে মিরাকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হন। কিন্তু এর মধ্যেই মিরাকে চিকিৎসার জন্য আরেকটি হাসপাতালে সরিয়ে নেয়া হয়।
এ জাতীয় আরো সংবাদ

রহস্যময় তালেবান নেতা মোল্লা ওমর, যাকে যুক্তরাষ্ট্র খুঁজে পায়নি
প্রকাশিতঃ ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গল, ১১:২২ অপরাহ্ণ
আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে কী ঘটেছিল?
প্রকাশিতঃ ২ ডিসেম্বর ২০২৪, সোম, ১১:৩৮ অপরাহ্ণ
নেতানিয়াহু-হামাস নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির পরোয়ানা: আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
প্রকাশিতঃ ২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহঃ, ১১:১৯ অপরাহ্ণ
আসামের করিমগঞ্জ নাম বদলে শ্রীভূমি, রবীন্দ্রনাথের আদৌ কোনও যোগ...
প্রকাশিতঃ ২০ নভেম্বর ২০২৪, বুধ, ১১:১৭ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের করাচি থেকে আসা জাহাজটির কন্টেইনারে যা যা আছে
প্রকাশিতঃ ১৭ নভেম্বর ২০২৪, রবি, ১০:৩৯ অপরাহ্ণ
ইরানে শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মানবাধিকার কর্মীর আত্মহত্যা
প্রকাশিতঃ ১৪ নভেম্বর ২০২৪, বৃহঃ, ৬:৩৩ অপরাহ্ণ