শনিবার || ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
চীনের হঠাৎ তৎপরতা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে নড়াচড়া
প্রকাশিতঃ ২১ এপ্রিল ২০২৩, শুক্র, ১:০৮ পূর্বাহ্ণ । পঠিত হয়েছে ৯০ বার।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীনের মধ্যস্থতায় আকস্মিকভাবে তৃতীয় দফার একটি উদ্যোগ দৃশ্যত শুরু হয়েছে। এ উদ্যোগ নিয়ে কোন হাকডাক নেই। আলোচনা চলছে অনেকটা নীরবে এবং সংবাদমাধ্যমের আড়ালে।
পাঁচ বছর আগে চীনের সর্বশেষ উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুটি অনেকটা ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিল। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন যে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে অগ্রগতি হবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে হঠাৎ করেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আবারো আলোচনায় এসেছে। বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমার খানিকটা নড়চড়ে বসেছে।
মঙ্গলবার চীনের মধ্যস্থতায় সেদেশের কুনমিংয়ে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের ত্রিপাক্ষিক একটি বৈঠক শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সেখানে অংশ নিয়েছেন।
এটা বেশ পরিষ্কার যে চীনের কারণেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পালে হাওয়া লেগেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, বেশ কয়েক বছর নীরবতার পর চীন কেন এখন আবার সক্রিয় হয়েছে?
চীন কেন তৎপর?
এপ্রিল মাসের শুরুতে অনেকটা নীরবে ঢাকা সফর করে যান চীনের বিশেষ দূত দেং সি জুন। সেই সময় তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
চীনর বিশেষ দূত কেন ঢাকা এসেছিলেন সে বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দিক থেকে আনুষ্ঠানিক কোন ব্রিফিং হয়নি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, তার সফরের অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন।
সে ধারাবাহিকতায় কুনমিংয়ে এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’এটা যে একেবারে হঠাৎ করে শুরু হয়েছে, সেটা বলা যাবে না। সব চেষ্টা বন্ধ করে চীন যে একেবারে সব চেষ্টা বন্ধ করে বসেছিল, তা নয়। মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ, করোনা- ইত্যাদি কারণে পিছিয়ে গিয়েছিল।‘’
এর আগেও যে দুই-দফা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, সেখানেও ভূমিকা রেখেছিল চীন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের এই ভূমিকার পেছনে একটাই কারণ, জিও-পলিটিক্স বা ভূ-রাজনৈতিক।
মিয়ানমারের সঙ্গে বরাবরই চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। অতীতে জাতিসংঘে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে যেসব প্রস্তাব আনা হয়েছিল, তাতে বরাবর ভেটো দিয়েছে চীন। কারণ চীন সবসময় চেয়েছে, মিয়ানমারে যেন চীনের বন্ধুভাবাপন্ন একটি সরকার ক্ষমতায় থাকে।
উথ এশিয়ান ইন্সটিটিউট অফ পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ব্রিগেডিয়ার (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন বলছেন, ‘’মিয়ানমারের চীনের একটা ভূমিকা আছে, জাতিসংঘে সবসময় তারা মিয়ানমারের পাশে থেকেছে। তার ফলে চীনও বৈশ্বিকভাবে একটা প্রশ্নের মধ্যে পড়েছে। চীন এভাবে এগিয়ে আসার এটাই প্রধান কারণ।‘’
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমারে চীনের ব্যাপক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থও রয়েছে। মিয়ানমারের আরাকান এলাকায়ও চীনের স্বার্থ রয়েছে। আরাকান অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবত অস্থিতিশীলতা চলছে।
“সেখানে যেভাবে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, চীন চায় সেখানে যেন একটা স্থিতিশীল পরিবেশ থাকে,’’ বলছেন এম সাখাওয়াত হোসেন।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ক্ষমতা নেবার পরবর্তী এক বছরে দেশটি ৩৮০ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদন করেছে।
এর মধ্যে ২৫০ কোটি ডলার ব্যয় করে একটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস প্লান্ট করবে চীন।
চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় রাখাইন রাজ্যের তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র থেকে চীনের ইউনান প্রদেশে একটি জ্বালানি করিডোর স্থাপনের পরিকল্পনা আছে।
মিয়ানমারের পক্ষে সবসময় চীনের অবস্থানের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এর আগে বিবিসি বাংলাকে একটি সাক্ষাৎকারে মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়না স্টাডিজ ইন্সটিটিউটের গবেষক ড. সৈয়দ মাহমুদ আলী বলেছিলেন, চীনের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ বাণিজ্য মালাক্কা প্রণালী দিয়ে হয়। কোন যুদ্ধাবস্থা তৈরি হলে যুক্তরাষ্ট্র বা তার আঞ্চলিক মিত্ররা ওই প্রণালী বন্ধ করে দিলে চীনের বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে।
এজন্য চীন মিয়ানমারের ভেতর দিয়ে স্থলপথে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল এবং গ্যাস সরবরাহের যে দুটি পাইপলাইন তৈরি করেছে, তা আরাকান হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। এই জন্য চীন কখনো চাইছে না যাতে, আরাকানের ওপর মিয়ানমার নিয়ন্ত্রণ হারায় বা সেখানে অস্থিরতা অব্যাহত থাকে।
ফলে রোহিঙ্গা সংকট জোরালো হওয়ার পর থেকেই ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছে চীন।
নানা সন্দেহ ও আশাবাদ
কিছুদিন আগে চীনের একজন দূত কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী যুদ্ধরত গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনাও করেছেন, যাতে তারা মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি করে।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা চাপের মধ্যে পড়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের পাশপাশি ইউরোপ এবং আমেরিকা থেকে মিয়ানমারের উপর চাপ বেড়েছে।
সেই চাপ সামলাতে ছোট আকারে হলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা করছে মিয়ানমার। এমনটা মনে করেন ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন ।এছাড়া বিষয়টি একটি কৌশলও হতে পারে।
‘’এখানে আমার মনে হয় যে, তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে, পশ্চিমা বিশ্ব যাতে এই বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে না পারে, ‘’ বলছেন মি. হোসেন।
তবে সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ বলছেন, ‘’গত পাঁচ বছরে অগ্রগতি হয়নি, কিন্তু এখন হয়তো হবে। শুরু হওয়াটাই জরুরি, সেটা এক হাজার হোক আর দেড় হাজার দিয়ে হোক। এতদিন মিয়ানমার নানাভাবে রোহিঙ্গাদের অস্বীকার করছিল, সেই অস্বীকৃতি আর থাকবে না। রোহিঙ্গারা যে তাদের দায়, এটা তখন স্বীকৃত হয়ে যাবে।”
মিয়ানমার এমন একটা সময়ে প্রত্যাবাসনের এই প্রচেষ্টা শুরু করেছে, যার কিছুদিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে তাদের জবাব দিতে হবে।
ব্রিগেডিয়ার (অব) সাখাওয়াত হোসেন বলছেন, ‘’মিয়ানমার চাইছে, একটা ছোটখাটো প্রক্রিয়া দিয়ে বিশ্বকে দেখানো যে, তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে আইসিজে (আন্তর্জাতিক বিচার আদালত) যে অভিযোগ আছে, সেটা যাতে শিথিল হয়। সেজন্যই চীনের সহায়তায় মিয়ানমার একটা কৌশল বা ফাঁদ তৈরির চেষ্টা করছে।‘’
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকার বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল। সেই সময় অবশ্য তারা রোহিঙ্গাদের ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক’ বলে বর্ণনা করেছিল।
মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের মধ্যস্থতাতেই সেই চুক্তি হয়েছিল। তখন চীনের তরফ থেকে বারবার বলা হয়েছে, মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিবর্তে দুই দেশের আলোচনার ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা উচিত।
২০১৮ সালের ১৫ই নভেম্বরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রথম দলটিকে মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি আর বাস্তবে আলোর মুখ দেখেনি।
এরপর ২০১৯ সালে অগাস্টে চীনের তরফ থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর আরেকটি উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু নাগরিকত্বের বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় যেতে চায়নি।
এখন আবার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীনের তরফ থেকে এই তৃতীয় দফার উদ্যোগ নেয়া হলো।
তবে শুধু রোহিঙ্গা ইস্যুতেই নয়, বিশ্ব রাজনীতিকেও সম্প্রতি চীন মধ্যস্থতাকারীর একটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় ইরানের সঙ্গে আবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ সৌদি আরব। এই সমঝোতার বিষয়ে আগেভাগে কিছুই আঁচ করা যায়নি। এ বিষয়টি অনেককে চমকে দিয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ বলছেন, ‘’রোহিঙ্গাদের বিষয়ে এই উদ্যোগটা সিরিয়াস হবে এই কারণে যে, এখানে চীনের একটা ভাবমূর্তির বিষয়ও জড়িত রয়েছে। তারা কোন কোন জায়গায় সফল হচ্ছে। এখানে যদি তারা ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের ভাবমূর্তিতে একটা বড় রকমের ব্যর্থতা হিসাবে দেখা হবে।”
মিয়ানমার কতটা আন্তরিক?
এবারের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে মার্চ মাসের শুরুর দিকে ইয়াঙ্গুনের আট দেশের কূটনৈতিকদের রাখাইনে নিয়ে যাওয়ার পর। এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও চীনও রয়েছে।
সেখানে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শিবিরগুলোসহ আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখানো হয়েছে কূটনীতিকদের।
এরপর গত মাসের মাঝামাঝিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তালিকা যাচাই-বাছাই করতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের কক্সবাজারে আসে। যদিও পরবর্তীতে আর কোন অগ্রগতি হয়নি।
বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলোয় সব মিলিয়ে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি সফল না হওয়ার পেছনে বরাবরই মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাবকে দায়ী করে আসছেন পর্যবেক্ষকরা।
মিয়ানমারের সাম্প্রতিক তৎপরতা এমন সময় শুরু হয়েছে যখন আন্তর্জাতিকভাবে চাপের মধ্যে পড়েছে মিয়ানমার।
মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির সদস্যরা ন্যাশনাল ইউনাইটেড গভর্মেন্ট (এনইউজি) নামের একটি প্রবাসী সরকার গঠন করেছে, যা অনেকগুলো দেশের স্বীকৃতিও পেয়েছে। রোহিঙ্গা নিপীড়নের ব্যাপারে তারা দায়িত্ব ও ভুল স্বীকার করে ক্ষমতায় গেলে তাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।
মিয়ানমারের ভেতরে অনেকগুলো রাজ্যেই বিদ্রোহী নানা গোষ্ঠীর মুখোমুখি হতে হচ্ছে জান্তা সরকারকে। অন্যদিকে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞার মাত্রা আরও বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।
গত বছরের ২২শে ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। সেই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোটো দেয়নি চীন বা রাশিয়া।
এরপরের দিন বার্মা অ্যাক্ট নামের একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যে আইনের মাধ্যমে সামরিক জান্তা সরকার, তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা এবং সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত গোষ্ঠীগুলোকে মারণাস্ত্র নয়, এমন সহায়তা দিতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।
সেখানে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দ ব্যবহার অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথাও বলা হয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেন মনে করছেন, এমন প্রেক্ষাপটেই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের ভাবমূর্তি উন্নত করার একটি চেষ্টা হিসাবে ছোট আকারে হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দিকে নজর ফেরাতে চায় মিয়ানমার।
তিনি বলছেন, ‘’বার্মা অ্যাক্টের পরে আমেরিকা এবং পশ্চিমা বিশ্ব যেভাবে মিয়ানমারের এনইউজি প্রবাসী সরকারকে সহায়তা দিচ্ছে, তাদের রেজিট্যান্স গ্রুপ মিয়ানমারের ভেতরে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে- ফলে দেশের ভেতরে মিয়ানমারের সরকার বেশ চাপে পড়েছে। এমনকি তাদের সঙ্গে লড়াই করতে বিমান বাহিনী পর্যন্ত ব্যবহার করতে হচ্ছে।‘’
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের নিয়ন্ত্রণ অনেক রকমে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। সেদেশের ভেতর অনেকগুলো যুদ্ধরত গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠেছে।