শনিবার || ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
প্রকাশিতঃ ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, শনি, ১২:২০ পূর্বাহ্ণ । পঠিত হয়েছে ২৬৮ বার।
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতের দেওয়া ১৮৮ তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট এবং ৪৩ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
এদিকে, ভারতের দেওয়া ১৮৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৪ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগার যুবারা। এরপর ব্যাকফুটে থাকা লাল-সবুজের শিবিরকে পথ দেখান আরিফুল ও আহরার জুটি। এই জুটির অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হাতে রেখে ভারতকে কাঁদিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজের যুবারা।
এর আগে, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে মারুফ মৃধার বোলিং তাণ্ডবে মাত্র ১৮৮ রানেই থেমে যায় ভারত। ভারতীয়দের ইনিংসে ধস নামিয়েছেন বাংলাদেশের পেসার মারুফ মৃধা। তিনি একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ইনিংসের সপ্তম ওভারের মধ্যেই ৩ উইকেট শিকার করে ভারতীয়দের চাপে ফেলে দেন তিনি।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলে আদর্শকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। নিজের পরের ওভারে আর্শিন কুলকার্নিকে মোহাম্মদ শিহাবের ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ দেন তিনি। এরপর নিজের ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারে ভারতের অধিনায়ক উদয় সরনকে শূন্য রানে ফেরান বাঁহাতি এই পেসার।
এরপর ভারতীয় শিবিরের হাল ধরেন প্রিয়ানসু মলিয়া ও শচিন দাস জুটি। ৩ বাউন্ডারিতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন শচিন। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। শচিনের পর মলিয়াকেও প্যাভিলিয়নের পথ দেখান ইমতিয়াজ বর্ষন।
এরপর শূন্য রানে রান-আউট হয়েছেন আরাভেলি আভানিশ। তবে সপ্তম উইকেট জুটিতে ৮৪ রান যোগ করে মুশির আহমেদ ও মুরগান অভিষেক জুটি। এই জুটিতেই একশো পেরিয়ে যায় ভারত। তবে ব্যক্তিগত ৫০ রানের পরই ফেরেন মুশির।
অন্যদিকে অভিষেকের ব্যাট থেকে আসে ৭৪ বলে ৬২ রানের ইনিংস। এই জুটি ভাঙেন বাংলাদেশ অধিনায়ক রাব্বি। মাঝে সাউমি সাজঘরে ফেরান পারভেজ রহমান জীবন।
এরপর শেষ ব্যাটার তিওয়ারিকে এলবিডব্লিউ করে ভারতীয় ইনিংস গুটিয়ে দেন জীবন।