রবিবার || ২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
পিয়নের নেতৃত্বে শ্যামনগরের পরিবার পরিকল্পনা অফিসের ঔষধ সামগ্রী পাচার
প্রকাশিতঃ ১১ আগস্ট ২০২৩, শুক্র, ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ । পঠিত হয়েছে ২১১ বার।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের পিয়ন খান আহসান ইবনে সালাম ওরফে সুমনের বিরুদ্ধে অফিসের ঔষধ সামগ্রী পাচারের অভিযোগ উঠেছে। বহিরাগতদের সাথে আতাঁত করে তিনি পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের জম্ম নিয়ন্ত্রণ ও ঔষধ সামগ্রী পাচার করছেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার তার নিকট থেকে দুটি ব্যাগ ভরে ঔষধ নিয়ে পালানোর সময় দুই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। এসময় সংবাদকর্মীরা উপস্থিত হয়ে ক্যামেরায় ভিডিও চিত্র ধারনের সুযোগে ঔষধ ভর্তি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় আটক যুবকরা।
জোবায়ের হোসেন ও উৎপলসহ স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসিক সভা চলছিল। এসময় অফিসের পিয়ন খান আহসান ইবনে সালামকে স্টোর রুম তদারকির নির্দেশনা দেয়া হয়। দুপুর সাড়ে বারটার দিকে দোতলার সভাকক্ষে অন্যরা ব্যস্ত থাকার সুযোগে খান আহসান সামনের রাস্তায় অপেক্ষমান দুই যুবকের নিকট থেকে দুটি ব্যাগ নিয়ে স্টোর রুমে যায়। স্বল্প সময়ের মধ্যে ব্যাগ দুটি ভর্তি করে নিয়ে বাইরে এসে গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকা যুবকদ্বয়ের হাতে তা উঠিয়ে দেয়। এসময় ঘটনা বুঝতে পেরে স্থানীয়রা সাংবাদিকদের খবর দিলে তারা যেয়ে ভিডিও চিত্র ধারণের সুযোগে ব্যাগ ফেলে দুই যুবক পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, খান আহসান ইবনে সালাম দীর্ঘ দশ বছরের বেশী সময় ধরে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার র্কাযালয়ে চাকুরীরত। অফিসের আস্থাভাজন হওয়ার পাশাপাশি মাঝেমধ্যে স্টোর রুম রক্ষনাবেক্ষনের সুযোগে সে ঔষধসহ পণ্যসামগ্রী বাইরে পাচার করেন। তাদের দাবি সম্প্রতি সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবি’র অভিযানে আটক জম্ম নিয়ন্ত্রণ উপকরণ সামগ্রী পাচারের সাথে খান আহসান ইবনে সালামসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা জড়িত থাকতে পারে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে খান আহসান ইবনে সালাম জানান, তিনি এধরনের ঘটনার সাথে জড়িত না। ভিডিও চিত্রে তার নেয়া ব্যাগ নিয়ে যুবকদের দৌড়ে পালানোর চেষ্টার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, ঔষধ দেয়ার নির্ধরিত দিন থাকায় একটু তাড়াহুড়ো করা হয়েছিল।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ শাকির হোসেন জানান, তিনি মাসিক সভায় ছিলেন। ভিডিও করার পরিবর্তে আটকের পরপরই পুলিশ কিংবা তাকে ডাকা হলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া যেতো