রবিবার || ২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
রহস্যময় হত্যাকাণ্ডের শিকার ২২ নারীর পরিচয় জানতে যেভাবে কাজ করছে ইন্টারপোল
প্রকাশিতঃ ১১ মে ২০২৩, বৃহঃ, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ । পঠিত হয়েছে ৯৯ বার।
ইউরোপের তিনটি দেশের পুলিশ রহস্যময় হত্যাকাণ্ডের শিকার ২২ জন নারীর পরিচয় জানতে লোকজনের কাছে সাহায্য চাইছে। নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম এবং জার্মানিতে ১৯৭৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তাদের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল।
আমস্টারডামে এক নারীর রহস্যজনক খুনের ঘটনার পর আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল এই বিশেষ অভিযান শুরু করে।
নেদারল্যান্ডসের রাজধানীর ভেতর দিয়ে বয়ে চলা এক নদীতে একটি আবর্জনার ডাস্টবিনের ভেতরে অজ্ঞাত ওই নারীর মৃতদেহ পাওয়া যায়।
নিহত এই নারীদের বিষয়ে জানতে এই প্রথমবারের মতো ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে একটি তালিকা প্রকাশ করে লোকজনের কাছে সাহায্য চাওয়া হলো।
এই অভিযানের নামকরণ করা হয়েছে ‘অপারেশন আইডেন্টিফাই মি’।
সাধারণত এধরনের কথিত “ব্ল্যাক নোটিস” সারা বিশ্বে ইন্টারপোলের সদস্য পুলিশ বাহিনীর মধ্যে বিতরণ করা হয়।
আমস্টারডামে ১৯৯৯ সালে নদীতে ফেলে দেওয়া একটি ডাস্টবিনের ভেতরে যে নারীর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল, তার মাথায় ও বুকে গুলি করা হয়েছিল।
ফরেনসিক গোয়েন্দা সারিনা ভন লিওভেন ২০০৫ সাল থেকে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
সে বছর তিনি আমস্টারডাম পুলিশের একটি টিমে যোগ দেন যারা এধরনের হত্যাকাণ্ডের সুরাহা করতে কাজ করে।
এধরনের মামলাকে বলা হয় কোল্ড কেস। ডাচ পুলিশ বলছে কোনো হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পরেও যদি এর রহস্য সমাধান করা না যায় তখন সেটি ‘কোল্ড কেসে’ পরিণত হয়।
রহস্য উদঘাটনে সব ধরনের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি এবং তার এক সহকর্মী প্রতিবেশী জার্মানি ও বেলজিয়ামের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন তারা এধরনের আরো বেশ কিছু নারীর হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জানতে পারেন যাদেরকে এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এর পর এই তিনটি দেশের পুলিশ ২২ জন অজ্ঞাত পরিচয় নারীর একটি তালিকা তৈরি করে যাদের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তারা হিমশিম খাচ্ছে। এবিষয়ে তারা ইন্টারপোলের সহযোগিতা চায়।
বেলজিয়ান পুলিশ এধরনের সাতটি, জার্মানি ছয়টি এবং নেদারল্যান্ডস নয়টি হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে।
এই ২২ জন নারীর বেশিরভাগেরই বয়স ১৫ থেকে ৩০।
পুলিশ বলছে নিহতদের নাম পরিচয় এবং কারা তাদের হত্যা করেছে এসব না জানার কারণে তাদের মৃত্যুর আসল কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
পুরো তালিকাটি ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এই তালিকায় রয়েছে নিহত নারীদের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু তথ্য, যেসব জিনিসের সাহায্যে তাদের চিহ্নিত করা যেতে পারে সেসবের কিছু ছবি- যেমন পোশাক, গহনা, উল্কি।
এছাড়াও কয়েকজন নারী দেখতে কেমন তার একটা ধারণা পাওয়ার জন্য প্রযুক্তির সাহায্যে তাদের মুখ পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং এসব মামলার বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরে হয়েছে।
ফরেনসিক গোয়েন্দা সারিনা ভান লিওভেন বলছেন এসব ঘটনায় কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া রহস্য সমাধানের জন্য খুবই জরুরি।
“আপনার যদি নাম না থাকে, আপনার কোনো গল্প পাওয়া যাবে না। আপনি তখন শুধু একটি নম্বর। এবং একজন মানুষ তো কোনো নম্বর নয়,” বলেন তিনি।
ইউরোপের এই অংশে সীমান্ত উন্মুক্ত থাকার কারণে লোকজন এক দেশ থেকে আরেক দেশে অবাধে ও খুব সহজে চলাচল করতে পারে।
ইন্টারপোলের ডিএনএ ইউনিটের সমন্বয়কারী ড. সুসান হিচিন বলছেন বিশ্বজুড়ে অভিবাসন ও মানব পাচারের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণে বর্তমানে নিজেদের দেশের বাইরেও লোকজনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর ফলে তাদের মৃতদেহ শনাক্ত করা কঠিন হয়।
তিনি বলেন, “নারীরা লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে যার মধ্যে রয়েছে পারিবারিক সহিংসতা, যৌন হামলা এবং পাচারের মতো ঘটনা।”
“এই অপারেশনের উদ্দেশ্য হচ্ছে এইসব নারীকে তাদের নাম ফিরিয়ে দেওয়া।”
আমস্টারডামে যে নারীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে তাকে শহরের কেন্দ্রে একটি গোরস্তানে সমাহিত করা হয়েছে।
তার কবর একটি ট্রেন লাইনের কাছে, এক সারি কবরের পেছনে। তার কবরটি খুব সহজে চোখে পড়ে না।
অন্যান্য কবরগুলোর গায়ে নানা ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য লেখা রয়েছে। এসবের উপরে তাজা ফুলও রেখে গেছে লোকেরা।
কিন্তু এই নারীর কবর এমন একটি জায়গায় যেখানে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের কবর। সেসব কবরের গায়ে লেখা: “পরিচয় জানা যায়নি”।
স্থানীয় এক ব্যক্তি ইয়েন মেইয়ের যখন তার হারিয়ে যাওয়া হুইলি বিন খুঁজতে একটি নৌকা নিয়ে নদীতে নেমে পড়েন তখন ওই নারীর মৃতদেহের সন্ধান পান। ইয়েনের এক প্রতিবেশী এর আগে তাকে জানান যে তিনি তার বিনটি নদীতে ভাসতে দেখেছেন।
নেদারল্যান্ডসের রাজধানীর উপকণ্ঠে তার বাড়ির খুব কাছ দিয়ে এই নদীটি প্রবাহিত হচ্ছে।
কিন্তু যখন তিনি বিনটিকে নৌকার কাছাকাছি নিয়ে আসেন তখন তিনি বুঝতে পারেন যে এটিকে তার ধারণার চেয়েও বেশি ভারি বলে মনে হচ্ছে।
বিনটিকে যতোই পানির নিচ থকে উপরে তোলা হচ্ছিল ততোই এর ভেতর থেকে “কোন কিছুর দুর্গন্ধ” ভেসে আসছিল।
ইয়েন দমকল বাহিনীর একজন কর্মী। এর আগেও তিনি মৃতদেহ দেখেছেন। তবে এখন যে গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে তাকে মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গন্ধ বলেই মনে হচ্ছে।
এই গন্ধটা ইয়েনকে তার শৈশবের একটি ঘটনা মনে করিয়ে দেয়, যখন তিনি জবাই করা মেষের পচে যাওয়া মাংস দেখতে পেয়েছিলেন।
খুব কাছে গিয়ে তিনি দেখলেন যে বিনটি পেরেক মেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিনটিকে তিনি ডেকের কাছে নিয়ে এসে পুলিশকে ফোন করেন।
বিনটি খোলার পর পুলিশের কর্মকর্তারা দেখলেন তার ভেতরে কিছু কংক্রিটের ওপর ওয়াশিং পাউডারের কয়েকটি ব্যাগ স্তূপীকৃত করে রাখা।
তারা বিনটিকে উল্টো করে ধরলে ভেতর থেকে একটি মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে। একটি হাত কংক্রিটে আবৃত।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন পুলিশ অফিসার বলছেন, মৃতদেহটি ছিল ছাই রঙের এবং দেখতে “বালির তৈরি ভাস্কর্য” বলে মনে হচ্ছিল।
তিনি বলেন মৃতদেহ দেখে বলা খুবই কঠিন ছিল এটা নারীর না কি পুরুষের।
সেসময় এই ঘটনায় যে তদন্ত পরিচালিত হয় তাতে দেখা যায় ওই নারীর বয়স ২৫-এর কাছাকাছি এবং তিনি দেখতে “কিছুটা পশ্চিম ইউরোপীয় এবং কিছুটা এশীয়” লোকজনের মতো।
অতি সম্প্রতি আইসোটোপ বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই মৃতদেহের ওপর যে ফরেনসিক তদন্ত চালানো হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে তার জন্ম নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, লাক্সেমবুর্গ অথবা বেলজিয়াম – এই চারটি দেশের কোনো একটিতে।
“যে ধরনের খাবার আপনি খান, যে পানি পান করেন, যে বাতাস আপনি নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করেন, সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে এই ফরেনসিক অনুসন্ধান চালানো হয়,” বলেন মিজ ভান লিওভেন।
ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধারের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মধ্যেই পুলিশ তার পরিহিত পোশাক, জুতার মাপ ইত্যাদির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে। কিন্তু এর পরেও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ওই নারীর পায়ে জুতা ছিল না, কিন্তু জুতাটি মৃতদেহের সঙ্গে বিনের ভেতরে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
মৃতদেহের সাথে আরো যেসব জিনিস পাওয়া গেছে তার বিস্তারিত তথ্য ইন্টারপোল তার ‘অপারেশন আইডেন্টিফাই মি’ এর অংশ হিসেবে প্রকাশ করেছে।
তার ডান হাতের কব্জিতে ছিল সোনালী রঙ্গের ঘড়ি। বিনের ভেতরে সাপের চামড়ার প্রিন্টের একটি ব্যাগও পাওয়া গিয়েছিল।
ওই বিনের ভেতরে পুরুষের কিছু পোশাকও পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা এগুলো হয়তো হত্যাকারীর।
এর মধ্যে রয়েছে একটি জ্যাকেট যার গায়ে লাল রঙ্গের একটি প্রতীক সেলাই করা। এই প্রতীক কিসের সেবিষয়ে অনুসন্ধান করে কিছুই জানা যায়নি।
এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি।
এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদ মাধ্যমের যে আগ্রহ দেখা গিয়েছিল, পরে সময়ের সাথে সাথে তাও হারিয়ে যায়।
কিন্তু যেদিন মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয় সেদিন ঘটনাস্থলে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের পক্ষে নাম পরিচয়হীন এই নারীকে ভুলে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
তাদেরকে এখনও এই চিন্তা তাড়া করে যে কে এই নারী এবং কারা তাকে হারিয়ে ফেলেছে!
কারা তাকে মিস করছে?
ফরেনসিক গোয়েন্দা সারিনা ভন লিওভেন ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো যখন এই ভিকটিমের কবর দেখতে যান, তখন তিনি মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কারো নাম পরিচয় হারিয়ে যাওয়ার কথা ভেবে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন।
এই গোরস্তানের মালিক তার কাছে জানতে চাইলেন অজ্ঞাত মৃতদেহের ব্যাপারে তার পরিকল্পনা সম্পর্কে।
তখনই তিনি উপলব্ধি করলেন এই সমস্যার মাত্রা আসলেই কতো প্রকট।
এর পর তিনি মৃতদেহ শনাক্ত করার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠেন এবং বিভিন্ন কারণে মারা গেছেন এরকম অজ্ঞাত ৪১ জনকে তিনি শনাক্ত করেছেন।
যেসব মৃতদেহ তিনি শনাক্ত করেছেন সবগুলোর বেলায় একটা বিষয়ে মিল ছিল। “তাদেরকে শনাক্ত করতে কতো সময় লেগেছে সেটা বড় কথা নয়, কিন্তু তাদের প্রত্যেকের কেউ না কেউ ছিল যারা তাদেরকে মিস করছিল,” বলেন তিনি।
“এমনকি ২৫ বছর পরেও যখন কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে, লোকজন খুশি হচ্ছে, কারণ তারা কিছু একটা পাচ্ছে যাকে তারা কবর দিতে এবং যার প্রতি সম্মান দেখাতে পারছে।”
অপারেশন আইডেন্টিফাই মি
যেসব মৃতদেহ শনাক্ত করতে সারিনা সাহায্য করেছেন তার মাত্র চারটি নেদারল্যান্ডসের।
একারণে তিনি মনে করেন এবিষয়ে অন্যান্য দেশের পুলিশের সঙ্গে কাজ করার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ।
‘অপারেশন আইডেন্টিফাই মি’ অভিযানে যেসব নারীর নাম পরিচয় খোঁজা হচ্ছে তাদের একজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে বেলজিয়ামে। তার গায়ে আঁকা উল্কিতে ছিল একটি কালো ফুল এবং সবুজ পাতা। তার নিচে “R’NICK” লেখা।
তার মরদেহ এন্টাওয়ার্পের একটি নদীতে পাওয়া গিয়েছিল ১৯৯২ সালে।
পুলিশ বলেছে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু তারা এই নারীর নাম কখনো প্রকাশ করেনি।
আরেকটি ঘটনায় একজন নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় জার্মানির ব্রেমেন শহরের একটি সেইলিং ক্লাব থেকে। তার মরদেহ একটি কার্পেট দিয়ে পেঁচিয়ে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল।
ইন্টারপোল বলছে তারা যে ‘ব্ল্যাক নোটিস’ প্রকাশ করেছে তার ফলে লোকজন কিছু স্মৃতি মনে করতে পারবে এবং তাদের কাছে এসংক্রান্ত কোনো তথ্য থাকলে এই নোটিস তাদেরকে পুলিশের কাছে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে।
“হয়তো তারা একটি কানের দুলের কথা মনে করতে পারবে অথবা মনে করতে পারবে কোনো একটি পোশাকের বিশেষ অংশ যা অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহের সঙ্গে পাওয়া গিয়েছিল,” বলেন ইন্টারপোলের ড. সুসান হিচিন।
এই ২২ জন নারীকে শনাক্ত করতে পুলিশ এখন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে যা তাদের মৃতদেহ উদ্ধারের সময় ছিল না। তারা মনে করছেন এই প্রযুক্তির ফলে নারীদের চিহ্নিত করার কাজ ত্বরান্বিত হবে।
আমস্টারডামে বিন থেকে যে নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়, স্কটল্যান্ডের একজন ফরেনসিক শিল্পী ড. ক্রিস্টোফার রিন ওই নারীর মুখ পুনর্গঠন করেছেন যাতে তিনি দেখতে কেমন ছিলেন সে বিষয়ে ধারণা করা যায়।
মি. রিন বলছেন ছাত্রাবস্থায় তিনি ওই নারীর আসল পোস্টমর্টেম ছবি দেখেছিলেন। সেসব ছবি তিনি কখনও ভুলতে পারেন নি।
তিনি আশা করছেন উন্নত কম্পিউটার সফটওয়্যারের সাহায্যে তিনি ওই নারীর খুলির চারপাশ ঘিরে যে মুখমণ্ডলের ছবি তৈরি করেছেন সেটা নতুন ক্লু পেতে সাহায্য করবে।
ফরেনসিক গোয়েন্দা সারিনা বলছেন, তিনি যেমন অজ্ঞাত এই সব নারীর পরিচয় খুঁজে বের করতে চান, তেমনি চান হত্যাকারীদেরও শনাক্ত করতে।
সারিনা জানিয়েছেন যে অজ্ঞাত এসব নারী পরিচয় সন্ধানে তিনি কখনো হাল ছাড়বেন না।
“আপনি একজন ব্যক্তি, আপনার একটি নাম আছে, আপনার একটি ইতিহাস আছে, এর পরিণতি মর্মান্তিক ও ভয়াবহ হলেও এই ইতিহাসের শেষ পর্যন্ত জানতে হবে,” বলেন তিনি।