অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়ছে নির্বাসিত আফগান নারী ক্রিকেট দল
Image

মঙ্গলবার || ১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৩শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়ছে নির্বাসিত আফগান নারী ক্রিকেট দল

প্রকাশিতঃ ১৯ এপ্রিল ২০২৩, বুধ, ৫:০১ অপরাহ্ণ । পঠিত হয়েছে ৫৫৬ বার।

অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়ছে নির্বাসিত আফগান নারী ক্রিকেট দল

তালেবান যেদিন আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখল করে সেদিন, অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৫ই অগাস্টে, আফগান নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার নাহিদা সাপান ছিলেন কাবুলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

“আমার শিক্ষক বললেন তোমাদের সবাইকে এখন বাড়ি যেতে হবে। আমরা সবাই উঠে দাঁড়ালাম এবং আমি তালেবানদের ফিরে আসতে দেখলাম। আমি সত্যি সত্যিই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম,” বিবিসিকে তিনি বলেন।

বাড়িতে ফিরে সাপান তার ক্রিকেট ব্যাটসহ আরো যেসব খেলার সামগ্রী আছে সেগুলোর বাড়ির বেজমেন্টে লুকিয়ে ফেললেন। এছাড়াও তিনি বাড়ির পেছনের উঠোনে গিয়ে তার সংগ্রহে যতো স্কোর-বুক ছিল সেগুলো পুড়িয়ে ফেললেন।

‘আমরা তোমাকে বাঁচতে দেবো না’

কুড়ি বছর বয়সী সাপানের এক ভাই আগের আফগান সরকারে কাজ করতেন। সাপান জানালেন, তার পরিবার এর পর তালেবানের কাছ থেকে ফোন কল ও মেসেজ পেতে শুরু করলো।

“তারা সরাসরি হুমকি দিতো। তারা বলতো: “আমরা তোমাকে খুঁজে বের করবো এবং যখন খুঁজে পাবো, আমরা তোমাকে বাঁচতে দেবো না। আমরা যদি তোমাদের একজনকে খুঁজে বের করতে পারি, তাহলে আমরা তোমাদের সবাইকে খুঁজে বের করতে পারবো,” বলেন তিনি।

“আমার প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল। আমার হাত দুটো কাঁপছিল। এতো ভয় পেয়ে গেলাম যে আমি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। যখনই আমি শুনতাম যে ঘরের দরজায় কেউ টোকা দিচ্ছে, আমার শুধু মনে হতো যে তারা আমাকে খুঁজে বের করে ফেলেছে। তারা এখন আমাকে মেরে ফেলবে।”

তিনি বলেন যে লোকগুলো তাকে হুমকি দিচ্ছিল তারা এখন সরকারের হয়ে কাজ করছে।

তালেবান যাতে তাদেরকে খুঁজে না পায় তার জন্য এর পরের কয়েক মাস সাপান ও তার পরিবার এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে পালিয়ে বেড়িয়েছেন।

শেষ পর্যন্ত তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পাকিস্তানে চলে যেতে সক্ষম হন। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাওয়ার পর সাপান তার দলের বাকি ক্রিকেটারদের সঙ্গে সেখানে একত্রিত হন।

তারা এখন তালেবানের নাগালের বাইরে।

সাপান
ছবির ক্যাপশান,তালেবান যখন ক্ষমতায় ফিরে আসে সাপান তখন কাবুলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন

আফগানিস্তানে নারী ক্রিকেট দল

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক জোটের সামরিক অভিযানে তালেবান সরকার পতনের ন’বছর পর প্রথমবারের মতো আফগান জাতীয় নারী ক্রিকেট দল গঠিত হয় ২০১০ সালে।

শুরুর কয়েক বছর আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এসিবি নারীদের এই দলটিকে “তালেবানের হুমকির” কারণে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে দিত না।

কিন্তু আফগান পুরুষ ক্রিকেট দলের জনপ্রিয়তা ও শক্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে এসিবিকে নারীদের ক্রিকেট খেলাকেও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া শুরু করতে হলো।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসির শর্ত অনুসারে তার পূর্ণ সদস্য ১২টি দেশে জাতীয় নারী ক্রিকেট দল থাকতে হবে। আফগানিস্তান ২০১৭ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে।

একারণে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে কর্তৃপক্ষ আফগান জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের ২৫ জন খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করে।

নারী ক্রিকেটারদের স্বপ্নভঙ্গ

কিন্তু এর এক বছরেরও কম সময়ে মধ্যে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে এলে নারী ক্রিকেটারসহ সারা দেশের নারীদের স্বপ্ন ধ্বংস হয়ে যায়।

তালেবান সরকার বিশ্ববিদ্যালয়, পার্ক এবং খেলাধুলায় নারীদের নিষিদ্ধ করেছে। নারী অ্যাথলিটদের খোঁজে তারা বাড়িতে বাড়িতে চালিয়েছে তল্লাশি অভিযানও।

সাপানসহ আফগান নারী ক্রিকেট দলের ২০ জনেরও বেশি সদস্য আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তারা এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।

তাদের মধ্যে আরো একজন ১৭ বয়সী বোলার আয়শা ইউসুফযাই।

তালেবানের বসানো তল্লাশি-চৌকিগুলো পার হয়ে তিনি কিভাবে পাকিস্তানে গিয়ে পৌঁছেছিলেন তার এক ভয়াবহ বিবরণ তিনি বিবিসির কাছে তুলে ধরেছেন।

“আমাদের মুখ ঢাকা ছিল। কারণ আমাদের এমনভাবে চলতে হতো যারা পুরুষরা আমাদের মুখ দেখতে না পারে। ফলে তারা বুঝতে পারেনি আমরা কারা। এনিয়ে আমরা ভয়ে ভয়ে ছিলাম, কিন্তু সৌভাগ্যবশত তারা আমাদের মুখ দেখাতে বলেনি,” বলেন তিনি।

ইউসুফযাই এভাবে পাকিস্তানে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

এর পরে অস্ট্রেলিয়ার সরকার আফগান নারী ক্রিকেট দলের অন্যান্য সদস্যদের অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে।

কিন্তু তাদের কিছু বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের এই সৌভাগ্য হয়নি।

“আফগানিস্তানে এখন কারোরই ভালো কিছু হচ্ছে না, বিশেষ করে নারীদের তো নয়ই। পড়াশোনা করা, কাজ করা এমনকি পুরুষ সঙ্গী ছাড়া তাদের ভ্রমণ করারও অধিকার নেই,” বলেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ায় নতুন জীবন

ইউসুফযাই এবং সাপান এখন অস্ট্রেলিয়ায় বাস করছেন। নতুন জীবনের সঙ্গে তারা নিজেদের মানিয়ে নিয়েছেন। তারা দুজনেই সেখানে লেখাপড়া করছেন। আফগানিস্তানের তুলনায় তারা এখন যে স্বাধীনতা ভোগ করছেন তার জন্য তারা বেশ খুশি।

“অস্ট্রেলিয়ায় থেকে মনে হচ্ছে আমরা সত্যিকার অর্থেই বেঁচে আছি। আমরা যখন আফগানিস্তানে ছিলাম, মনে হতো যে আমাদের শুধু অস্তিত্ব আছে,” বলেন সাপান।

“এখন আমি আমার ভবিষ্যতের ব্যাপারে আশা করতে পারি, আগামিকাল নিয়ে আশা করতে পারি। আমি আশা করতে পারি যে আমার স্বপ্ন একদিন বাস্তব হবে।”

তাদের এই নতুন জীবনের জন্য তারা অস্ট্রেলিয়ার সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ, তবে তারা মনে করেন যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পরিচালনাকারী সংস্থা আইসিসি তাদেরকে তেমন একটা সাহায্য সহযোগিতা করেনি।

কী করছে আইসিসি

আফগান নারী দলের সদস্যরা বলছেন আইসিসির পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে এখনও কোনো যোগাযোগ করা হয়নি, যদি তারা “আফগানিস্তানে ক্রিকেট এবং আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এসিবির স্ট্যাটাস পর্যালোচনা করে দেখার জন্য ২০২১ সালে আফগানিস্তান ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে।

আফগান নারীদের এই দলটি গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এবিষয়ে আইসিসির কাছে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছে।

কিন্তু আইসিসি বলছে নারী দলের স্ট্যাটাস আফগান ক্রিকেট বোর্ডের বিষয়।

“আমাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে তারা কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সেটা আমাদের দলের কাউকে জানানো হয়নি,” বলেন সাপান। “আমাদের ব্যাপারে কথা বলার জন্য তারা দুবার দুবাই গিয়েছিল, কিন্তু আমরা এখনও কিছু জানি না। আমরা ইন্টারনেট থেকেই যা কিছু জেনেছি। আমরা কেমন আছি, অথবা আমরা কী চাই এসব জানতে কেউই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।”

অথচ আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের একটি নারী ক্রিকেট দলও থাকতে হবে।

আফগান নারী দলের পক্ষ থেকে আইসিসিকে অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন তাদেরকে অস্ট্রেলিয়ায় একটি নারী ক্রিকেট দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়, এবং আফগান ক্রিকেট বোর্ডের জন্য বরাদ্দ অর্থের কিছু অংশ তাদের কাছে পাঠায়।

এবছরের মার্চ মাসে আইসিসি আফগান ক্রিকেট বোর্ডের বাজেট “উল্লেখযোগ্য পরিমাণে” বৃদ্ধি করেছে, কিন্তু নারী দলের ব্যাপারে তারা কিছু উল্লেখ করেনি।

নারী ক্রিকেট দলের প্রতি সাহায্য না থাকার কারণে তারা এখন নিয়মিত অনুশীলন করতে পারছে না। এমনকি তাদের পক্ষে আনুষ্ঠানিক কোনো ম্যাচ আয়োজন করাও সম্ভব হচ্ছে না।

“আমি চাই না যে আইসিসি আমাদের ভুলে যাক অথবা তারা আফগানিস্তানের সেসব নারীকে ভুলে যাক যারা এখনও ক্রিকেট খেলবে বলে আশা করছে। আফগানিস্তানে প্রচুর মেয়ে আছে যারা একদিন ক্রিকেট খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে,” বলেন সাপান।

মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একজন পরিচালক মিঙ্কি ওয়ার্ডেন বলছেন আইসিসির এখন অস্ট্রেলিয়ায় নারীদের এই জাতীয় দলটিকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। একই সাথে নারীরা যাতে আফগানিস্তানে খেলায় অংশ নিতে পারে সেজন্য চাপও তৈরি করতে হবে।

ওয়ার্ডেন মনে করেন আফগান ক্রিকেট বোর্ড যদি এটা করতে না পারে তাহলে আইসিসির উচিত হবে আফগানিস্তানের সদস্যপদ সাময়িকভাবে বাতিল করা। এরকম হলে আফগান পুরুষদের দলও কোথাও খেলতে পারবে না।

“নিয়ম তো নিয়মই। খেলাও তো নিয়ম,” বলেন তিনি।

“ধরা যাক নিউজিল্যান্ড যদি হঠাৎ করেই বলে যে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য আমরা এখন শুধুমাত্র পুরুষদের দলই পাঠাবো, তখন তো এবিষয়ে আইসিসিকে কিছু একটা বলতে হবে।”

“তাহলে আফগানিস্তানের ব্যাপারে এই নোংরা দ্বৈত অবস্থান কেন?”

তালেবান বেশ ভালো করেই জানে আফগানরা এই ক্রিকেট খেলাকে কতোটা ভালোবাসে এবং সেকারণে তারা পুরুষদের টিমকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

ওয়ার্ডেন মনে করেন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট থেকে আফগান পুরুষ দলকে সাময়িকভাবে বাদ দেওয়ার হুমকি তালেবানের উপর “চাপ” হিসেবে কাজ করবে যাতে তারা নারীদের খেলাধুলা করার বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।

“আফগান নারী খেলোয়াড়দের খেলাধুলায় নিষিদ্ধ করার জন্য তালেবানকে তো এখন কোনো মূল্য দিতে হচ্ছে না,” বলেন তিনি।

তবে ইউসুফযাই এবং সাপান তারা কেউই চান না আফগান পুরুষ দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হোক।

আইসিসির বক্তব্য

আইসিসির একজন মুখপাত্র বলেছেন তারা “আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে সাহায্য সহযোগিতা দেওয়ার ব্যাপারে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা এসিবিকে অথবা তাদের খেলোয়াড়রা যদি তাদের দেশের সরকারের বেঁধে দেওয়ার আইন মেনে চলে তার জন্য তাদেরকে কোনো শাস্তি দেবে না।”

“আইসিসির কোনো সদস্য দেশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক কী হবে সেটা ওই দেশের বোর্ড দেখাশোনা করেন। এতে আইসিসি জড়িত হয় না। একইভাবে, কোনো দেশের নারী ও পুরুষ দলকে দিয়ে খেলানোর সিদ্ধান্ত ওই সদস্য দেশের বোর্ডের ওপর নির্ভর করে, আইসিসির উপরে নয়,” বলেন তিনি।

“এসিবি যাতে ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করে যেতে পারে এবং আফগানিস্তানে নারী ও পুরুষ ক্রিকেট দলের খেলার সুযোগ করে দিতে পারে, আইসিসি তার জন্য গঠনমূলক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।”

এবিষয়ে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

‘আমাকে মানুষ হিসেবে দেখা হোক’

সাপান এবং ইউসুফযাই তারা দুজনেই স্বপ্ন দেখেন যে একদিন তারা তাদের নিজেদের দেশে ফিরে যাবেন।

“আমি আফগানিস্তানে যেতে চাই এবং আফগানিস্তানের জন্য খেলতে চাই। কারণ এই দেশেই আমার জন্ম, এই দেশ থেকেই আমি এসেছি,” বলেন ইউসুফযাই। “যদি সেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকে, নারী পুরুষের মধ্যে সাম্য থাকে, যে সুযোগ আমি অস্ট্রেলিয়াতে পাচ্ছি…আমি আফগানিস্তানেই থাকতে চাইবো। তবে সেখানে যদি এসব না থাকে, তাহলে না।”

এই দুই নারী ক্রিকেটারই মনোবিজ্ঞানী হতে চান। তারা চান আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়াতে নারী ও পুরুষের সাম্য প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে।

কিন্তু এই মুহূর্তে তারা শুধু ক্রিকেটই খেলতে চান, যে খেলা খেলতে তারা ভালোবাসেন।

“আমি আমার টিমকে ফেরত চাই কারণ আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। জাতীয় দলের অংশ হওয়ার যে স্বপ্ন সেটা পূরণ করার জন্য আমাকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে… কিন্তু এখন আমি আফগানিস্তান নাম নিয়ে খেলতে পারি না,” বলেন ইউসুফযাই।

“আমি শুধু আমার অধিকার চাই আর চাই আমাকে একজন মানুষ হিসেবে দেখা হোক। আমি শুধু চাই তারা আফগানিস্তানে একজন পুরুষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করে – আমার সঙ্গেও একই আচরণ করা হোক।”

এ জাতীয় আরো সংবাদ

প্রাইভেট জেট নিয়ে কেন ম্যানচেস্টারে এসেছিলেন রোনাল্ডো

প্রকাশিতঃ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গল, ১০:৫৩ অপরাহ্ণ

সাফজয়ীদের দেড় কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা বাফুফের

প্রকাশিতঃ ৯ নভেম্বর ২০২৪, শনি, ১০:১৫ অপরাহ্ণ

ভিসা জটিলতায় আমিরাতে যেতে পারেননি নাসুম-নাহিদ

প্রকাশিতঃ ৪ নভেম্বর ২০২৪, সোম, ১১:৩১ অপরাহ্ণ

আফগানিস্তান সিরিজের টাইগারদের দল ঘোষণা, দলে নেই সাকিব-লিটন

প্রকাশিতঃ ১ নভেম্বর ২০২৪, শুক্র, ১০:৫৮ অপরাহ্ণ

বাফুফে ভবনের উদ্দেশে ছাদখোলা বাসে সাফ চ্যাম্পিয়নদের যাত্রা শুরু

প্রকাশিতঃ ৩১ অক্টোবর ২০২৪, বৃহঃ, ৯:২২ অপরাহ্ণ

ফিলিস্তিন ফুটবল দল এখন ঢাকায়

প্রকাশিতঃ ১ এপ্রিল ২০২৪, সোম, ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ

শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ ৬ মার্চ ২০২৪, বুধ, ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ