Dakhinadarpon ‘পেঁয়াজের বর্তমান দাম অস্বাভাবিক,’ বলছেন কৃষিমন্ত্রী, দ্রুত আমদানির উদ্যোগ – Dakhinadarpon
Image

রবিবার || ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ || ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

no posts Have

‘পেঁয়াজের বর্তমান দাম অস্বাভাবিক,’ বলছেন কৃষিমন্ত্রী, দ্রুত আমদানির উদ্যোগ

প্রকাশিতঃ ২১ মে ২০২৩, রবি, ১১:১৭ অপরাহ্ণ । পঠিত হয়েছে ৮৫ বার।

‘পেঁয়াজের বর্তমান দাম অস্বাভাবিক,’ বলছেন কৃষিমন্ত্রী, দ্রুত আমদানির উদ্যোগ

বাংলাদেশে এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কেজিতে অন্তত ২০ টাকা বেড়ে গিয়েছে। গত সপ্তাহে বাজারে ৬০ টাকার মধ্যে এক কেজি পেঁয়াজ মিললেও রোববার এটি বাজারে বিক্রি হয়েছে কেজিতে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।

এ অবস্থায় বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। এ উদ্দেশ্যে রবিবার বিকালে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, “টিসিবির তথ্যানুযায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য এক মাস পূর্বে ৩০ টাকা ছিল যা গত সপ্তাহে ৫০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে এবং বর্তমানে ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি করে মূল্য স্থিতিশীল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।”

একারণে জরুরি ভিত্তিতে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি প্রদানের কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। অনুমতি পেলে আমদানিকারকরা বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আনতে পারবে।

এর আগে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুদ থাকার পরও এত দাম বৃদ্ধি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। “বর্তমান দাম অস্বাভাবিক। ৮০ টাকা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না।”

তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দামটা রিজনবল রাখার চেষ্টা করবো, না হলে কয়েকদিনের মধ্যে ইমপোর্টে যেতে হবে।”

এর কয়েকঘন্টা পরই কৃষি মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি ইস্যু করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

দুদিন আগে ঠিক একই কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রংপুরে এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, “পেঁয়াজ আর চিনি নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে। পেঁয়াজ আপাতত ভারত থেকে আমদানি বন্ধ রয়েছে। দাম না কমলে দু-একদিনের মধ্যে আমরা আমদানির ব্যবস্থা নেব।”

বাণিজ্যমন্ত্রীর বিশ্বাস আমদানি হলেই দাম কমে যাবে।

দেশি কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় গত মার্চে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে সরকার। সেসময় পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০ টাকার মধ্যেই। কিন্তু দুই মাসের মধ্যে সেটি দ্বিগুনেরও বেশি হয়ে গেল।

বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের তাই হিমশিম অবস্থা।

“অবস্থা তো খারাপ, ২৫ টাকায় কিনতাম, সেটা ৩০ থেকে ৩৫…৪০..৫০…বাড়তে বাড়তে এখন ৭০-এও পাওয়া যাচ্ছে না। ৮০ টাকা লাগতেছে। সবকিছুর দাম অবিশ্বাস্যভাবে বেড়েছে,” বলছিলেন গৃহিনী তানিয়া আক্তার।

বর্তমান দাম দেখে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে পেঁয়াজ চাষীদের মাঝেও। এবারে পেঁয়াজ উৎপাদন করেছিলেন বগুড়ার কৃষক জাহিদ হাসান। ফলনও ভালো হয়েছিল। কিন্তু দাম খুব একটা পাননি। ফলে অল্প দামে মাঠ থেকেই ফসল বিক্রি করে দেন তিনি।

“আমরা অল্প পুঁজির লোক। পেঁয়াজ রাখলে সংসার চলবে কীভাবে। এখন তো সব পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের কাছে, তারা মজুদ করে রাখছে,” বলেন তিনি।

এই সিন্ডিকেটের কথা স্বীকার করেন কৃষিমন্ত্রীও। “আমরা চেষ্টা করছি সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা যায় কি না। না হলে ভারতে দাম কম, সেখান থেকে আমদানি করে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। পেঁয়াজের দাম হবে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা।” অনেকটা হতাশার সুরেই বলেন মি. রাজ্জাক।

কিন্তু এই যে সিন্ডিকেট যাদের বলা হচ্ছে সেই মধ্যস্বত্ত্বভোগী ব্যবসায়ী বা আড়ৎদারদের সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না কেন?

“নিয়ন্ত্রণ করার ইচ্ছে থাকলে নিয়ন্ত্রণ করা যায়,” মনে করেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ ক্যাবের সহ-সভাপতি নাজের হোসেন।

“বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে ধরনের উদ্যোগ দরকার সেগুলো দেখা যায় নি। যেমন কৃষকরা যেন দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে অগ্রিম বিক্রি না করে সেজন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সুবিধা দরকার ছিল। এখন মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কাছে স্টক থাকার কারণে তারাই কারসাজি করছে। এ জায়গায় সরকারের যেভাবে তদারকি করা কথা সেটা হয়নি,” বলেন মি. নাজের।

তবে আমদানি হলে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমবে বলে মনে করেন তিনি। “ভারত থেকে আমদানি হলে ক্রাইসিস কমে যাবে। কারণ স্টক আছে, কিন্তু কৃত্রিম ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে ইচ্ছেমতো।”

তবে অনেকের এখন শঙ্কা কোরবানীর ঈদ সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আরো বাড়বে।

সংসারের জন্য নিয়মিত বাজার করেন এমন একজন মীর মুশফিক বলছিলেন, “১৫/২০ দিন আগে গ্রাম থেকে পেঁয়াজ আনাইছিলাম। কিন্তু আজ বাজার করতে গিয়ে দেখি বাজারে আদা নাই, জিরা নাই, চিনিও নাই। মশলা সবকিছুর দাম বাড়তির দিকে। সবজির দাম অবিশ্বাস্য।”

ভোক্তাদের নিয়ে কাজ করা নাজের হোসেন মনে করেন দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতার সামাজিক সংক্রমণ ঘটেছে।

“সব ব্যবসায়ীর মধ্যে অতি মুনাফার প্রবৃত্তি, জনগণের পকেট কাটতে হবে। এ কারণে সমস্যাগুলো ঘুরে ফিরে আসতেছে।”

পরিস্থিতি সহনীয় রাখতে সরকারকে একটু আগে থেকে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ বাজার বিশ্লেষকদের।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

অবরোধসহ নতুন কর্মসূচির ডাক বিএনপির,গুলিস্তানে পুড়ছে বাস

প্রকাশিতঃ ৪ ডিসেম্বর ২০২৩, সোম, ১১:২৫ অপরাহ্ণ

প্রাণিসম্পদের ৩ কর্তার কেলেঙ্কারি খুঁজছে দুদক

প্রকাশিতঃ ২২ নভেম্বর ২০২৩, বুধ, ৮:২৮ অপরাহ্ণ

‘নিরাপত্তা নিশ্চিতে যা প্রয়োজন, পুলিশ তাই করবে’

প্রকাশিতঃ ১৫ নভেম্বর ২০২৩, বুধ, ১০:১৪ অপরাহ্ণ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি

প্রকাশিতঃ ১৫ নভেম্বর ২০২৩, বুধ, ১০:১২ অপরাহ্ণ

‘বৃহস্পতিবারের মধ্যে তফসিল ঘোষণা হতে পারে’

প্রকাশিতঃ ১৩ নভেম্বর ২০২৩, সোম, ১০:১৬ অপরাহ্ণ

চিকিৎসা বিজ্ঞানে আরও গবেষণার অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিতঃ ১২ নভেম্বর ২০২৩, রবি, ১১:১৪ অপরাহ্ণ

রোববার থেকে চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ ডেকেছে...

প্রকাশিতঃ ৯ নভেম্বর ২০২৩, বৃহঃ, ১১:৫১ অপরাহ্ণ