Dakhinadarpon কলারোয়ার চেড়াঘাট সাতগম্বুজ মসজিদ স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন – Dakhinadarpon
Image

শুক্রবার || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

no posts Have

কলারোয়ার চেড়াঘাট সাতগম্বুজ মসজিদ স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন

প্রকাশিতঃ ৩ এপ্রিল ২০২৩, সোম, ১২:১১ পূর্বাহ্ণ । পঠিত হয়েছে ১৪৫ বার।

কলারোয়ার চেড়াঘাট সাতগম্বুজ মসজিদ স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন

কলারোয়ায় মুসলিম স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন চেড়াঘাট সাতগম্বুজ মসজিদ। পৌণে দুইশত বছরের পুরানো এ মসজিদের অনুপম নির্মাণশৈলী ও কারুকাজ আকৃষ্ট করে সকলকে। ঐতিহাসিক মসজিদটি স্থানীয়দের কাছে কায়েম বিশ্বাসের মসজিদ নামে পরিচিত। কলারোয়া উপজেলা সদর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে নৌখালের কোল ঘেঁষে এ মসজিদটির অবস্থান। ছায়া সুনিবিড় বৃক্ষরাজি ঘেরা মসজিদের সামনে-পেছনে রয়েছে পুকুর। মসজিদের প্রবেশদ্বারের নাম ফলকে স্থাপন সাল উল্লেখ করা রয়েছে, বাংলা ১২৬৯ ও ইংরেজি ১৮৬২।

চেড়াঘাট গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বিশ্বাস পরিবারের সদস্য ফয়েজ বিশ্বাস ও তাঁর অনুজ সাজেদ বিশ্বাসের সাথে কথা বলে জানা যায়, মসজিদের নির্মাতা কায়েম বিশ্বাস ছিলেন একজন গাঁতিদার। প্রবল পরাক্রমশালীও ছিলেন তিনি। সেসময় ভারতের মুর্শিদাবাদের জমিদার দুর্গাপদ চৌধুরীর সাথে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর চরম বিরোধ বাঁধে। জমিদার তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার ঘোষণা দেন। তখন কৌশল হিসেবে তিনি একদিন সকালে জমিদার দুর্গাপদ চৌধুরীর বাসভবনে যেয়ে মার্জনা প্রার্থনা করেন। জমিদার একটি মসজিদ নির্মাণ করিয়ে দিতে হবে, এমন শর্তে তাঁকে মার্জনা করে দেন। অধ্যাপক আবু নসরের লেখা ‘কলারোয়া উপজেলার ইতিহাস’ বইটিতেও এরূপ কাহিনীর উল্লেখ রয়েছে। এরপর কায়েম বিশ্বাস কলকাতা থেকে নির্মাণ শ্রমিক ও সরঞ্জামাদি আনিয়ে নিজ গ্রাম চেড়াঘাটে এখন থেকে ১৬১ বছর আগে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এভাবে নির্মিত হয় সাত গম্বুজ এই মসজিদটি। এর গাঁথুনি পাতলা আকারের ইট ও চুনসুরকি দিয়ে। ১২ শতক জমির ওপর নির্মিত এ মসজিদে রয়েছে ৭ টি দরজা। ১০টি পিলারের ওপর মসজিদের ছাদ। প্রায় ১৫ ফুট উচ্চতার এই মসজিদে রয়েছে ৭টি গম্বুজ ও ১০টি মিনার। মসজিদের প্রতিটি সারিতে একসঙ্গে ৬০/৬৫জনের মতো মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদ পরিচালনা কমিটির সম্পাদক মাদ্রাসা শিক্ষক আবদুল মোমিন জানান, ১৬১বছরের পুরানো এ মসজিদটি সম্প্রতিকালে বর্ধিত করা হয়েছে। এর সিঁড়ি নির্মাণ করে সম্প্রসারিত অংশে যুক্ত করা হচ্ছে। যা মসজিদটির সংরক্ষণেও উপযোগী হবে। তিনি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ঐতিহাসিক এ মসজিদটির টেকসই সংরক্ষণ করার দাবি জানান।